অনলাইনে ঘরে বসে সহজেই আয় করুন Fiverr এর মাধ্যমে

সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়া শুরু করলাম ইন্টারনেট এ ঘরে বসে আয় বিষয়ক আমার প্রথম লেখার কাজ। ইন্টারনেট এ ঘরে বসে আয় বা আউটসোর্সইং এই কথাটি আজ প্রযুক্তির কল্যাণে আমাদের তরুন প্রজন্মের মুখে মুখে আজ ঘুরছে। সেই সাথে আমদের দেশের তথা কথিত কিছু প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে  যারা “ইন্টারনেট এ ঘরে বসে আয়” বা “আউটসোর্সইং” এর প্রশিক্ষণ এর মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় কারার সপ্ন দেখিয়ে আমাদের তরুন সমাজের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা। ফলে আমাদের দেশের তরুনেরা প্রতারিত হয়ে বিদায় নিচ্ছেন। প্রযুক্তি বিষয়ে আমার জ্ঞান খুব ই কম তবুও আমার মাঝে যা আছে তা যদি সবার মাঝে ছড়িয়া দিতে পারি তবেই আমার কষ্ট সার্থক।
যাই হোক, আজ আমি সবাই কে আমার প্রিয় এবং বিশ্বজুড়ে খুবই জনপ্রিয় একটি সাইট এর সাথে পরিচই করিয়া দেব। সাইটটি হলঃ http://www.fiverr.com । সাইটটির ইন্টারফেস এরকমঃ

এই সাইট টির বিশেষত্ব হচ্ছে, এখানে আপনি আপনার পণ্য বা সেবার বিজ্ঞাপন বিনা টাকায় দিতে পারবেন। সেই বিজ্ঞাপন গুলোকে বলা হবে গিগ। আপনার গিগ যদি কারো পছন্দ হয় তা হলে তিনি $৫ এর বিনিময়ে আপনার গিগ টিকে অর্ডার করতে পারেন। কারন এই সাইট এর সব কাজ ই হয় $৫ এর। এই সাইট টির ট্রাফিক অত্তন্ত বেশি ( প্রায় ৪০,০০০ প্রতি দিন)। তাই বলা যাই না, ভাগ্য ভালো থাকলে প্রতিদিন ২-৩ টি অর্দার পাওয়া কোন বিষয়ই না। আমি নিজের কথা বলতে পারি। আমি প্রতিদিন ৩-৪ টি অর্ডার পাই।
কাজের বা গিগ এর ধরনঃ
একটু খেয়াল করলে আপনি সহজেই বুঝতে পারবেন কোন ধরনের গিগ আপনাকে পোস্ট করতে হবে। না না ভয় পাবার কিছু নেই। এখানে রয়েছে বিভিন্ন বিভাগ। এই বিভাগ গুলোর যেকোনোটিতে আপনি যতো খুশি ততো গিগ প্রতিদিন জমা দিতে পারেন। তবে বেশি গিগ দিলেই যে বেশি অর্ডার পাওয়া যায় কথাটি এমনও নয়। আমি এখনও মাঝে মাঝে আমার ১ম গিগ থেকেও অর্ডার পাই। পুরো ব্যাপারটি নির্ভর করছে আপনার গিগ এর ধরন, নিজস্বতা, আর আপনার পণ্যের চাহিদার উপর। বিষয়টি আরও ভালোভাবে বললে, গিগ এর চাহিদা ও আপনার লেখার সৃজনশীলতার উপরই নির্ভর করে আপনার গিগ এর সফলতা। আপনি যদি নিজেকে সৃজনশীল ভাবে উপস্থাপন করতে পারেন তবে আমার মনে হয়না যে ১ম অর্ডারটি পেতে আপনাকে খুব বেশি আপেক্ষা করতে হবে। তবে, সব সময়ই যে একই ধরনের লেখা লিখে সফল হবেন তা ভাবা টাও ঠিক নই। কখনই অন্যদের গিগ নকল করবেন না। যদি দেখা যাই অর্ডার পাওয়া যাচ্ছে না তাহলে গিগ এর বিষয় পরিবর্তন করুন, লেখায় বৈচিত্র্য আনুন। সফলতা আসবেই। আমি পারছি আপনি কেন পারবেন না? আর এখানে টাকার অঙ্ক টাও কিন্তু নেহাত কম নয়। প্রতিটি গিগ সেল $৫ (৳৩৫০)। যদিও সাইটটি সার্ভিস চার্জ বাবদ $১ কেটে রেখে $৪ পেমেন্ট করে। এই সাইট এর রেজিস্ট্রেশন এর নিয়ম অন্যান্য সাইট এর মতই খুবই সাধারন।
আমি আমার একটি গিগ এর উদাহরন দিচ্ছি যেটা একটা সময় খুবই হট গিগে পরিনত হয়াছিল।
1. I will give you wordpress tutorial for $5. (৫ সেল)
2. I will create 10 gmail or youtube account for $5. ( ৭ সেল)

গিগ দেয়ার পর ক্রেতার কাছে আপনার গিগ এর একটি বর্ণনা দিন। কীওয়ার্ড গিগ সম্পর্কিত কিছু কীওয়ার্ড দিন। যেমনঃ আমি আমার ১ম উদাহরন এর জন্য দিয়েছিলাম WordPress, Tutorials, E-Book, CMS, Learn, Easy. তারপর আপনি কতো দিনে কাজটি শেষ করতে পারবেন তা উল্লেখ করুন। আপনি যদি আপনার নিজের কোন পণ্য এখানে সেল করতে চান তার জন্য এর পর রয়েছে এ রয়েছে শিপিং এর অপশন। সবশেষে আপনার পণ্য এর এক বা একাধিক  ছবি(ই-বুক এর ছবি) আপলোড করুন। তারপর ওকে দিন।
এখানে যে ধরনের গিগগুলো বেশি সেল হয় তার মধ্যে সবার উপরে রয়েছে টিউটোরিয়াল ভিত্তিক গিগ। এর পরই আছে প্রোগ্রামিং , ফান, সামাজিক যোগাযোগ এর গিগ ইত্যাদি। টিউটোরিয়াল ভিত্তিক ই-বুক আপনি গুগল থেকে বা অন্য যেকোনো ফ্রী ই-বুক এর সাইট থেকে ফ্রী ডাউনলোড করতে পারেন। তবে আপনাকে অবশই আপনার পন্নের মান নিশ্চিত করতে হবে। এবং আপনার নির্ধারিত সময়ই এর মধ্যেই কাজ জমা দিতে হবে অথবা বায়ার কে আপনার সমস্যার কথা জানিয়া সময় চেয়ে নিতে হবে। নইলে পরবর্তীতে এর অর্ডার না পাবার বা বয়ার ওরদার বাতিল করতে পারেন বা আপনাকে বাজে রেটিং দিতে পারেন। বায়ের এর সাথে সকল আলোচনা অবশ্যই ঐ সাইট এর মেইল বক্স এ করতে হবে। আপনার কাজটি শেষ হলে কাজটি অবশ্যই ঐ সাইট এর মাধ্যমেই হস্তান্তর করতে হবে। কোন ক্রমেই বায়ের এর ই-মেইল অ্যাকাউন্ট এ পাঠানো যাবে না। আবার এখানে রয়েছে ঐ একই অ্যাকাউন্ট দিয়ে একজন বায়ার হিসাবেও কাজ করার সুবিধা। আপনি এই সাইট এ কিছু টাকা জমিয়া আপনার কোন কাজ এর জন্য গিগ চাইতে পারেন। আপনি আপনার গিগ গুলো ফেসবুক, টুইটার এ শেয়ার করতে পারেন। আবার এই সাইটটির উইডগেট ব্যবহার করে আপনি আপনার ওয়েবসাইট এ এই সাইট এ আপনার গিগ গুলোর বিজ্ঞাপন দিতে পারেন। এতে আপনার গিগ এ বাড়তি কিছু ট্রাফিক আসতে পারে। যা হতে পারে আপনার আয়ের একটি অন্যতম উৎস।
পেমেন্টঃ অনেক বক বক করলাম। এবার আসি টাকা উত্তলন এর কথাই। অর্ডার পাবার সাথে সাথেই টাকা বায়ার পুরো টাকা ইসক্রো করে দায়। তাই সময় মতো কাজ জমা দিলে টাকা পাবেনই। কাজ জমা দেয়ার ৩দিন এর মধ্যে বায়ার আপানর কাজটি গ্রহন করবেন ও আপনাকে রেটিং দেবে। এবং কাজটি গ্রহন করার টাকা আপনার অ্যাকাউন্ট এ জমা হবে এবং ১২ দিন এর মাথায় আপনার টাকা ক্লিয়ার করা হবে। যা আপনি আপনার পেপাল অ্যাকাউন্ট দিয়া সাথে সাথে তুলতে পারবেন। অনেকের মতে এই একটা কারনেই অনেকেই এই সাইট এ কাজ করতে ভয় পায়। কারন এই সাইট এ টাকা পাবার উপায় মাত্র একটি। আর তা হলো পেপাল যার কোন সাপোর্ট বাংলাদেশ এ নাই! কিন্তু আমি মনে করি না বর্তমান সময়ে এটি কোন সমস্যা। এখন আমাদের দেশে অনেক সফল ফিলানস্যার আছেন যারা বিভিন্ন উপায়ে পেপাল থেকে বাংলাদেশ এ টাকা আনেন। তাদের কাছে এ ব্যাপারে সহযোগিতা চাইলে তারা অবশ্যই আপনাকে সাহায্য করবেন। আমি অনেক মানুষকে দেখেছি যারা বিভিন্ন বাংলা ফোরাম (বিডিওএসএন) এর মাধ্যমে  দেশের সফল ফিলানস্যার কাছে পেপাল থেকে টাকা আনার জন্য সাহায্যচান। এবং আমি দেখেছি আমাদের দেশের সফল ফিলানস্যাররা কিভাবে তাদেরকে তাদের টাকা আনতে সাহায্য করেন। তাই বলছি, টাকা যদি আপনার অ্যাকাউন্ট এ থাকে তাহলে টাকা আনার জন্য খুব বেশি বেগ পেতে হবেনা। তারপরও যদি টাকা আনতে কোন সমস্যা হয় তাহলে আমিতো আছিই। তাহলে শুরু করে দিন না আজ থাকেই।
অনেক আগেই বলেছি কোন ওয়েবসাইট এ এটাই আমার ১ম বাংলা পোস্ট লেখা। কাজেই ইচ্ছা থাকা সত্তেও সব কথাগুলো গুছিয়া লিখতে পারিনি। আশা আপনারা সবাই এটিকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। পোস্টটি ভালো লাগলে বা কোথাও কোন সমস্যা মনে করলে কমেন্ট এর মাধমে জানাতে ভুলবেন না যেন। আপনাদের উৎসাহ পেলে আবার দেখা হবে। সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন। ধন্যবাদ।

সংগ্রহ বিজ্ঞান প্রযুক্তি খথকে। 

No comments:

Post a Comment

বিনোদন বিষয়ক সাইট দেখুন

বাস্তবে দেখা জল প্রতিফলন।

Check Page Rank of your Web site pages instantly:

This page rank checking tool is powered by Page Rank Checker service

বি: দ্র:-কোন লিংক না দেখা গেলে SKIP AD-এ ক্লিক করবেন।

  • .
 
Blogger Widgets Read more: http://techtunes.com.bd/tutorial/tune-id/70142/#ixzz1Nh3anoHA