প্রযুক্তিরর পথে কোন সুবিধা সৃষ্টি করতে পারুক আর না পারুক, এই পথে বাধা সৃষ্টি করা যে খুব সহজ সেটা সব সরকার প্রধানরাই জানে। বেশ কিছু পদ্ধতির মাধ্যমে সরকার প্রযুক্তি বিকাশে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। অবাধ তথ্য প্রবাহে নিজের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠাও করতে পারে। আপনার
সৃজনশীলতার উপরে হাত দিতে পারে। নতুন কোন প্রযুক্তি বা পন্য আপনাকে ব্যবহারে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। তারই কয়েকটি পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
১. চাইলেই আপনার বা আপনার প্রিয় ওয়েবসাইটটি ব্লক করে দিতে পারে
যে কোন সরকার আপনার ওয়েবসাইটটি তার দেশ থেকে ব্লক করে দিতে পারে। আইএসপি সেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলোকে সাইটের নাম দিয়ে ব্লক করে দিতে বললেই দিলেই এই দেশে সেই সাইট দেখা যাবে না। যদিও আইপি হাইড করে বা প্রক্সি ব্যবহারের মতো বেশ কিছু সুচতুর কাজ করে সুবিধা অর্জন করতেও পারেন। তার পরেও সাধারন ব্যবহারকারীরা এত ঝামেলা করে সাইট দেখতে যাবে না।
বাংলাদেশে বেশ কিছু দিন ইউটিউব, রেপিড শেয়ার ও মেডিয়া ফায়ার বন্ধ ছিল, শেখ হাসিনার একটি অডিও ফাঁস হওয়ার জন্য। যদিও এদেশ থেকে পর্ণ সাইটগুলো প্রবেশ পথে কোন বাধা নেই। এখনো চীনে
ইউটিউব বন্ধ। আর
উইকিলিকসের ডোমেইনটিকেই টিকতে দেয় নি আমেরিকা।
২. কোন প্রযুক্তির পথে বাধা সৃষ্টি
একটি চলমান টেকনোলজিকে আরেকটি নতুন টেকনোলজিকে মেরে ফেলতে পারে। এক সময় আপনি সিআরটি মনিটর ব্যবহার করেন এখন হয়তো এলসিডিতে চলে এসেছেন। ঠিক তেমনি সুবিধাজনক প্রযুক্তিতে প্রবেশ করলে সরকারের সমস্যা হলে আপনার সুবিধাটি সে দেখবে না।
ভিওআ্ইপির মাধ্যমে ইন্টারনেটের মধ্যমে সহজে এবং অনেক কম খরচে একজন আরেকজনের সাথে কথা বলতে পারবেন। অথচ সেই প্রযুক্তিপথে বাধা দিয়ে আটকে রাখা হচ্ছে। কোন একটি প্রযুক্তি যদি আমাকে কম খরচে বেশ সুবিধা দিতে পারে সেখানে সরকারের তো বাধা হয়ে দাড়ানোর কথা না।
৩. পণ্য আনা নেওয়াতে বাধা সৃষ্টি
প্রযুক্তির যে পন্যটি আজ ইউকে, ইউএসএ তে প্রবেশ করে সেটি্আমাদের চোখে দেখতে ছয়মাস থেকে এক বছর লেগে যায়। আর সেই সময়ে উন্নত দেশগুলোতে এই পন্যের বাজার থাকে না, হয়তো ভিন্ন কোন পণ্য নিয়ে তারা আছে।
বিদেশ থেকে প্রযুক্তি পণ্য আনা নেওয়াতে রয়েছে চরমভাবে বাধাগ্রস্ত করতে সরকার প্রস্তুত।
৪.নিরাপত্তাঃ
আপনি কি আপনার গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলোকে ওয়েবে নিরাপদ রাখতে চান? তাহলে যে দেশে বসবাস করেন সেই দেশের সার্ভিস গ্রহণ না করাই ভাল। বর্তমানে গুগল, মাইক্রোসফট, ফেসবুক, টুইটার সবই আমেরিকা ভিত্তিক সাইট। আপনি যদি এই নেটওয়ার্কে কোন কথা বলেন যা আমেরিকার স্বার্থে আঘাত করে বা আমেরকা বিরোধী কোন মনোভাবকে সামাজিকভাবে জনপ্রিয় করে তোলার চেষ্টা করেন তাহলে আপনার তথ্যগুলো তারা হাতিয়ে নিতেই পারে। দেশি কোন সার্ভিসের ক্ষেত্রেও বিষয়টি প্রযোজ্য।
উদাহণ হিসেবে বেশ কিছু দিন আগে উইকিলিকস সমর্থকদের গোপন আলোচনা আমেরিকা সরকারের হস্তগত করা হয়। ফেসবুক
ফিলিস্তিনি অভ্যুত্থানের পেইজ মুছে দিয়েছে এতে প্রমানিত হয় যে দেশিয় স্বার্থ রক্ষায় সমগ্রিক জনগনের ব্যক্তিগত তথ্যের উপর প্রভাব বিস্তার হতেই পারে।