হার্ডওয়্যার সমগ্র :: নাম তার প্রসেসর

t2 হার্ডওয়্যার সমগ্র :: নাম তার প্রসেসর [পর্ব ০২] | Techtunes



 মাদারবোর্ড এর বুকে যেসব ডিভাইস বাস করে, তাদের মাঝে সেরা কে? উত্তরে সবাইই বলবে যে প্রসেসর। এমনকি র‍্যাম, হার্ডডিস্ক এদের যদি মুখ থাকত তাহলে তারাও হয়ত বলত যে প্রসেসর ছাড়া কম্পিউটার অচল। কারণ সকল ডিভাইস থেকে তথ্য নিয়ে সেটাকে কাজে লাগিয়ে ফলাফল বের করা, সবার খোঁজ খবর নিয়ে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেয় একমাত্র প্রসেসর নিজেই। আজকের টিউনে এই প্রসেসর নিয়েই আলোচনা করা হবে।

প্রসেসর কি?
যে প্রসেস করে সেই প্রসেসর। ব্যাকরণের সমাসের মত হয়ে গেল তাইনা? তাহলে আরো ভালোভাবে বলি, যা কোন তথ্য নিয়ে সেটাকে নির্দেশ অনুযায়ী ফলাফলে পরিণত করে সেটাই প্রসেসর। বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক্স যন্ত্রে কেন্দ্রীয় যে অংশ সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করে সেটাই প্রসেসর। তাহলে দুইশ টাকা দামের খেলনা গাড়ির মাঝে যে প্রসেসর আছে আর আধা-লক্ষ টাকা দিয়ে কেনা কম্পিউটারের মাঝের প্রসেসর কী একই? মোটেই না। কম্পিউটারে যে প্রসেসর ব্যাবহার করা হত তাকে বলা হয় সিপিইউ বা Central Processing Unit. ধরণের দিক দিয়ে এটা মাইক্রো-প্রসেসর। যদিও সিপিইউ দেখতে আমরা সচরাচর যেসব আইসি দেখি তাদের সমান বা ছোট্ট, কিন্তু এর একেবারেই ভেতরের মূল অংশটুকু অনেক অনেক ছোট্ট। তাই এদের বলা হয় মাইক্রো-প্রসেসর।

কম্পিউটারে যেসব প্রসেসর ব্যাবহৃত হয় সেগুলো আকারে যেমন ছোট, তেমনি কাজের দিক দিয়েও বেশ শক্তিশালী। এদের তো আর ইচ্ছামত যেখানে সেখানে তৈরী করলেই হল না! সিপিইউ এর গঠন আর প্রস্তুতপ্রণালী অনেক জটিল। আমরা প্রসেসর কে দেখি চারকোণা একটা চকচকে ধাতুর আবরণ দিয়ে ঘেরা চেপ্টা পাতের মত। কিন্তু এর মাঝে থাকে অনেক কিছু। শুনুন বলছি।










আগে বলে নিই আইসি কী। একটা তড়িৎ বর্তনীকে যদি খুব ছোট্ট করে বানিয়ে কিছুর মাঝে পুরে দেওয়া যায় তাহলে সেটা হয়ে যায় আইসি বা Integrated Circuit. আইসি এর মাঝে থাকে অসংখ্য ট্রানজিস্টর, ডায়োড, রেজিস্টর ইত্যাদি। একটা আইসি তার গঠন অনুযায়ী নির্দিষ্ট কাজ করতে সক্ষম। এরকম অনেক অনেক আইসি একত্রে ছোট্ট আকারে সাজিয়ে নিলে পাওয়া যায় মাইক্রো-প্রসেসর। ইলেক্ট্রনিক্সের কাজে অর্ধপরিবাহক বা সেমকন্ডাক্টরের ব্যাবহার অনেক বেশি। এই চিপ তৈরীতে সেমকন্ডাক্টরের হিসেবে সিলিকনের পাত ব্যবহার করা হয়। সিলিকন পাতের ওপর এভাবে ট্রানজিস্টর, ডায়োড, রেজিস্টর ইত্যাদি তৈরী করার পদ্ধতিকে বলা হয় ফেব্রিকেশান
বাণিজ্যিকভাবে আলাদা আলদা করে চিপ তৈরী করা অনেক সময়সাপেক্ষ আর অলাভজনক ব্যাপার। তাই সমস্যা এড়াতে একসাথে একটা বড় সিলিকন পাতের ওপর অনেকগুলো চিপ বানানো হয়। তারপর সেটাকে একক অনুযায়ী কেটে নেওয়া হয়। এই পদ্ধতিকে বলে এলএসআই বা Large-Scale Integration. প্রসেসর অনেক বেশি সুক্ষ্ম হয় বলে একসাথে আরো বেশী চিপ ফেব্রিক করা হয়। তখন সেটাকে বলে ভিএলএসআই বা Very Large-Scale Integration. ফেব্রিকেশানের পর পাত কেটে যেসব ছোট্ট ছোট্ট চিপ পাওয়া যায় সেটাকে বলা হয় ডাই (Die). এই ডাই এর সাথে বাইরের অন্যান্য ডিভাইস যুক্ত করার জন্য তার লাগানোর ব্যাবস্থা থাকে। এই চিকন তারের সাহায্যে ডাই থেকে প্রসেসরের নিচে যে অনেকগুলা বিন্দুর মত দাগ থাকে সেখানে সংযোগ দেওয়া হয়। সেই প্রসেসর মাদারবোর্ড এর সকেটে লাগালেই হয়ে যায়। নিচের ছবিটা দেখুন, এখানে অনেকগুলা ডাই দেখানো হয়েছে যা আসলে একটা বৃত্তাকার প্লেটে ফেব্রিক করে বানানো হয়েছে।
1 হার্ডওয়্যার সমগ্র :: নাম তার প্রসেসর [পর্ব ০২] | Techtunes
আর এই ছবিটা দেখে বুঝবেন প্রসেসরের মাঝে ডাই কিভাবে বসানো থাকে।
2 হার্ডওয়্যার সমগ্র :: নাম তার প্রসেসর [পর্ব ০২] | Techtunes
ডাই থেকে প্রসেসর এর কানেক্টরে কীভাএব তার দিয়ে সংযোগ দেওয়া হয় তা দেখে নিন এই ছবিতে।











একটা ডাই কতটা ক্ষুদ্র হতে পারে তা বুবোঝা যায় এই ছবিটা দেখে। এটা ইনটেল অ্যাটম প্রসেসরের ডাই যা একটা চালের সমান।
4 হার্ডওয়্যার সমগ্র :: নাম তার প্রসেসর [পর্ব ০২] | Techtunes
এখন কথা হল ডাই যদি এত ছোট্ট হয়, তাহলে সিপিইউ এত বড় করে বানানোর কি দরকার? আসলে ডাই বা কেন্দ্রীয় অংশ যখন কাজ করে তখন বিদ্যুৎ প্রবাহের কারণে তাপ উৎপন্ন হয়। এই তাপকে সমভাবে ছড়িয়ে দিতে বাইরের ধাতব আবরণ বানানো হয়। আর ডাই অনেক সংবেদনশীল, একে রক্ষা করার জন্যেই বাইরে অনেক শক্ত আবরণ দেওয়া থাকে।
ডাই নিয়ে আরো একটু জানা দরকার। তা হল ডাই এর ন্যানোটেকনোলজি কেমন। ডাই যত বড় ক্ষেত্রফলের হয়, সার্কিট বড় হওয়ার কারণে উৎপন্ন তাপের পরিমাণ তত বেশি হয়। বেশি বিদ্যুতও লাগে। তাই দিন দিন ডাই এর ক্ষেত্রফল কমছে। যেমন কোর ২ ডুয়ো সিরিজে ডাই ছিল ৪৫ ন্যানোমিটার, আর কোর আই সিরিজে তা হয়েছে ৩২ ন্যানোমিটার।

কি ভাবে প্রসেসর লাগাবেন?
মাদার বোডের মাঝখানে প্রসসের জায়গাতে প্রসেসর লাগিয়ে হিটিং ফ্যানের চার কোনে চারটি পয়েন্ট খাকে। প্রসেসরটি ঠিক পয়েনেট দিয়ে বসিয়ে ডান দিকে একটু ঘুরিয়ে দিবেন।এরপর সংযোগ ক্যাবলগুলো মাদার বোডের ঠিক পয়েন্টে লাগিয়ে দিন। তাহলেই হবে।



ডাই এর মাঝে কী কী থাকে ?
আগেই বলেছি যে ডাইতে অসংখ্য ট্রানজিস্টর বসানো থাকে। এরা একসাথে তৈরী করে লজিক গেইট যার মাধ্যমে সিপিইউ প্রদত্ত ডাটা কাজে লাগিয়ে ফলাফল তৈরী করে। এদেরকে কোর বলা হয়। দিন দিন প্রসেসরের কার্যপরিধি বেড়ে যাচ্ছে। আগের টিউনে আমি বলেছিলাম যে হাই-স্পীড পেরিফেরাল কে নর্থব্রিজ কন্ট্রোল করে। আধুনিক কালে প্রসেসরের মাঝে নর্থব্রিজ ইন্টিগ্রেট করা থাকে। তাই প্রসেসর শুধু লজিক নিয়ে পড়ে থাকে তা না। ফলাফল তৈরীর পাশাপাশি তাকে জিপিইউ আর মেমরি এর দেখভাল করতে হয়, ইনপুট আউটপুট ডিভাইসের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখতে হয়। তাছাড়া মেমরি বা র‍্যাম থেকে ডাটা নিয়ে কাজ করার জন্য নিজেই একটা ক্যাশের সাহায্য নেয়। তাহলে নিচের জিনিসগুলো সিপিইউ তে থাকে।
t4 হার্ডওয়্যার সমগ্র :: নাম তার প্রসেসর [পর্ব ০২] | Techtunes
এবার সবকয়টার বর্ণনা দিই।

কোর

সিপিইউ এর একেবারেই প্রধান অংশ হল কোর। কোরের উপর প্রসেসরের ক্ষমতা নির্ভর করে। কোরের মাঝে থাকে দুইটা অংশ। একটা হল অ্যারিথমেটিক/লজিকাল ইউনিট (Arithmetic/Logical Unit) আরেকটা হল কন্ট্রোল ইউনিট(Control Unit)। এই দুইটা রেজিস্টার নামক আরেকটা অংশের মাধ্যমে পরষ্পরের সাথে যুক্ত থাকে। কোন কাজের নির্দেশ পেলে একটা কোর (সিঙ্গেল কোর প্রসেসর হলে সেটাকেই সিপিইউ বলা যায়) তিন ধাপে কাজ করে। তা হল -
  • মেমরি থেকে তথ্য নেওয়া ও তথ্য পাঠানো
  • এএলইউ এর মাধ্যমে সেটাকে সমাধান করে
  • কাজ শেষ হলে নতুন নির্দেশ অনুযায়ী কাজ শুরু করে
এই ছবিতে কোয়াড কোর প্রসেসরের ডাই দেখানো হয়েছে যাতে চারটি কোর দেখা যাচ্ছে –
5 হার্ডওয়্যার সমগ্র :: নাম তার প্রসেসর [পর্ব ০২] | Techtunes
এসব করার জন্য বাসের (Bus) দরকার হয়। বাস বলতে আমরা বুঝি বিভিন্ন পেরিফেরালের মাঝে যোগাযোগের রাস্তা বা মাধ্যম। যেমন সিপিইউ মেমরি থেকে কিছু তথ্য চায়। তাহলে প্রথমে তাকে মেমরি এর লোকেশান খুঁজে বের করে তথ্য জানার জন্য নির্দেশ পাঠাতে হবে। মেমরিতে তথ্য বিভিন্ন ব্লকে থাকে। প্রতিটা ব্লকের ঠিকানা বা অবস্থানকে বলে অ্যাড্রেস। যে উপায়ে মেমরিতে তথ্যের অ্যাড্রেস বের করা হয় সেটা হল অ্যাড্রেস বাস (Address Bus)। এই বাস কিন্তু একমুখী। আচ্ছা, এবার তথ্য সিপিইউ তার নিজের কাছে আনতে বা ফলাফল বের করে মেমরিতে পাঠাতে যে বাসের সাহায্য নেয় তা হল ডাটা বাস (Data Bus)। আর কাজ শেষে মেমরি বা অন্য কোন ডিভাইস (যেমন ডিস্ক) কে নির্দেশ পাঠায় যে বাসের মাধ্যমে তার নাম কন্ট্রোল বাস (Control Bus)
নিচের ছবিতে প্রসেসর প্রধান ইউনিট আর বাস দেখানো হয়েছে।
6 হার্ডওয়্যার সমগ্র :: নাম তার প্রসেসর [পর্ব ০২] | Techtunes
কোর বেশি হলে ক্ষমতা বাড়ে। একই ডাই-তে কোর ফ্যাব্রিক না করে আলাদা আলাদা ডাই তে কোর বসালে সেটা আরো বেশী শক্তিশালী হয়।

ক্যাশ মেমরি

সিপিইউ অনবরত মেমরি আর অন্যান্য ডিভাইস থেকে তথ্য গ্রহণ করতে থাকে। এর তথ্য সংগ্রহ আরো দ্রুততর করতে কোরের সাথে ক্যাশ মেমরি যুক্ত করা হয়। ক্যাশ মূল মেমরি থেকে যেসব স্থানে সম্প্রতি ডাটা রিড/রাইট করেছে সেসব স্থানের অ্যাড্রেস ক্যাশিং করে রাখে। পুরো ব্যাপারটা বইয়ের শুরুতে সূচিপত্রের মত কাজ করে। সূচিতে যেমন ভেতরের কোন পাতায় কী আছে তা লেখা থাকে, ক্যাশ মেমরি তেমনি মেমরির কোন ব্লকে কী ডাটা আছে তা সংগ্রহ করে রাখে এবং কোর সেই ডাটা চাওয়া মাত্র সেটা সেখানে পাঠায়। ক্যাশিং একাধিক লেভেল বা ধাপে হলে ক্ষমতা আরো বৃদ্ধি পায়। বিভিন্ন ধাপের ক্যাশ মেমরিকে L1, L2, L3 এভাবে সংগায়িত করা হয়। কিছু ক্ষেত্রে একাধিক কোর একই লেভেল ক্যাশ মেমরি ব্যাবহার করতে পারে। তখন সেটাকে Shared Level Cache বলা হয়। ক্যাশ মেমরি যত বেশি আর যত লেভেলের হয়, প্রসেসরের কর্মক্ষমতা তত বেশী হয়।

জিপিইউ/জিপিইউ কন্ট্রোলার

প্রতিটা কম্পিউটারে ভিডিও আউটপুট দেখানোর জন্য গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিট দরকার। নতুন প্রসেসরে এই জিপিইউ ডাই-তে অবস্থান করে। এছাড়াও জিপিইউ কন্ট্রোলার নামে একটি অংশ থাকে যেটা এক্সটার্নাল জিপিইউ বা পিসিআই পোর্ট এ লাগানো গ্রাফিক্স কার্ড কে নিয়ন্ত্রণ করে এবং ভিডিও আউটপুট FDI এর মাধ্যমে আউটপুট ইন্টারফেস (ডিভিআই বা ভিজিএ কেবল) এ প্রেরণ করে।

মেমরি কন্ট্রোলার

সকল কোর বা সিপিইউ মেমরি বা র‍্যামের সাথে সরাসরি যে হাবের সাহায্যে যুক্ত থাকে তার নাম মেমরি কন্ট্রোলার। এটা মেমরি থেকে সিপিইউতে আর সিপিইউ থেকে মেমরিতে অনবরত ডাটা রিড রাইট করতে থাকে।

ডিএমআই

ডিএমআই মানে হল Direct Media Interface. নর্থব্রিজ আর সাউথব্রিজের মাঝের সরাসরি সংযোগকে ডিএমআই বলে। নতুন প্রসেসরে নর্থব্রিজ নেই। তাই সিপিইউ এর যে অংশ সাউথব্রিজ অর্থাৎ লো-স্পীড ডিভাইস যেমন ডিস্ক, ইউএসবি, পিসিআই ইত্যাদি কে নিয়ন্ত্রণ করে সেটা হল ডিএমআই।
নিচের ছবিটায় সকল অংশ ডায়াগ্রাম আকারে দেখানো হল –
7 হার্ডওয়্যার সমগ্র :: নাম তার প্রসেসর [পর্ব ০২] | Techtunes
এখন কথা হল সকল প্রসেসরে জিপিইউ থাকেনা। সেক্ষেত্রে জিপিইউ কন্ট্রোলার থাকে। তখন মাদারবোর্ড এ নর্থব্রিজ নামের যে চিপ থাকে সেটাই সেটা জিপিইউ, মেমরি আর প্রসেসরের মাঝে সমন্বয় সাধন করে। আর যেসব কোরে ডিএমআই নেই, সেক্ষেত্রে নর্থব্রিজ আর সাউথব্রিজের মাঝের বাসই দুইয়ের মাঝে কানেকশান বজায় রাখে। আগে নর্থব্রিজ থেকে প্রসেসর এ ডাটা অ্যাক্সেস করতে ফ্রন্ট-সাইড-বাস নামে একটি পদ্ধতি ব্যবহার করা হত। এতে চিপসেটকে নির্দিষ্ট হারে কোরে ডাটা সেন্ড আর রিসিভ করতে হত। এফএসবি এর সমস্যা হল এতে প্রসেসরের সবটুকু ক্ষমতা কাজে লাগানো যেত না। অর্থাৎ প্রসেসর অনেক ভালো ফ্রিকোয়েন্সির হওয়া সত্বেও এফএসবি কম হওয়ার কারণে ডাটা সেন্ড করে রিসিভ না করা পর্যন্ত নতুন প্যাকেট পাঠানো যেত না। এই কারণে নতুন সিস্টেমে নর্ত্থব্রিজ পুরোটাই কোরের সাথে ডাইতে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। ইনটেল এটাকে বলে “স্যান্ডি ব্রিজ” পদ্ধতি।
(ব্যাক-সাইড-বাস: প্রসেসর থেকে ডাটা প্রসেসর মেমরি তে ক্যাশ করার রাস্তা হল বিএসবি)
নিচের ছবিটায় এফএসবি আর বিএসবি দেখানো হয়েছে –
8 হার্ডওয়্যার সমগ্র :: নাম তার প্রসেসর [পর্ব ০২] | Techtunes

প্রসেসরর ক্ষমতা 

 ক্লক স্পীড:

ক্লক স্পীড হল প্রসেসরের পারফরমেন্স নির্ণয়ের মূল উপায়। একটা প্রসেসর সেকেন্ডে কতটা নির্দেশ পালন করতে পারে সেটাই তার ক্ষমতা। ধরা যাক কোন প্রসেসর সেকেন্ডে ১০০০ টা নির্দেশ (বা কোনো গাণিতিক ক্যালকুলেশান) পালন করতে পারে। তাহলে তার ক্ষমতা ১ কিলোহার্টজ। যদি ১০০০০০০০০০ টা কাজ সম্পাদন করতে পারে তাহলে আমরা বলি তার ক্ষমতা ১ গিগাহার্টজ। খুব দ্রুত ক্ষমতাসম্পন্ন প্রসেসরের ক্ষেত্রে GT/s নামের এককটি ব্যবহার করা হয়। এর মানে হল Giga Transfer pre second. অর্থাৎ সেকেন্ডে কতটা নির্দেশ পালন বা বয়ে নিতে পারে সেটার পরিমাপ হল GT/s.

প্যারালাল প্রসেসিং:

একসাথে একাধিক নির্দেশ পালন করাকে প্রসেসরের প্যারালাল প্রসেসিং ক্ষমতা বলে। ধরুন প্রসেসর কে ২+৩ আর ৪+৫ এর ফলাফল নির্ণয় করতে দেওয়া হল। তাহলে যদি সে প্রথমে ২ আর ৩ এর যোগফল বের করে পরে ৪ আর ৫ এর যোগফল বের করে তাহলে সময় বেশী লাগবে। কিন্তু যদি একই সাথে ২ আর ৩ যোগ করার নির্দেশ দেওয়ার সাথে সাথে ৪ আর ৫ যোগ করতে বলা হয় তাহলে দ্রুত (প্রায় আগের চেয়ে দ্বিগুণ সময়ে) ফলাফল পাওয়া যাবে। এটা হল প্যারালাল প্রসেসিং। এর উপর ভিত্তি করে প্রসেসরকে RISC আর CISC এই দুইভাগে ভাগ করা হয়েছিল। RISC হল Reduced Instruction Set Computing আর   CISC হল Complex Instruction Set Computing. RISC টাইপের প্রসেসর এমনভাবে তৈরী হত যে এরা নিজেরাই প্যারালাল পদ্ধতিতে ম্যাক্সিমাম প্রসেসিং করতে পারত। কিন্তু CISC ধরণের প্রসেসরে অ্যাসেম্বলি কোডের মাধ্যমে প্যারালাল প্রসেস করাতে হত।
প্যারালাল প্রসেসিং এর উদাহরণ –
9 হার্ডওয়্যার সমগ্র :: নাম তার প্রসেসর [পর্ব ০২] | Techtunes

থ্রেড লেভেল:

প্যারালাল পদ্ধতিতে একাধিক নির্দেশ পালন করে ফলাফল বের করা সম্ভব। প্রসেসরের ক্ষমতা আরো বাড়ানোর জন্য থ্রেড লেভেলের সাহায্য নেওয়া হয়। একই প্রোগ্রাম বা নির্দেশ কয়েকটি কোরের মধ্যে পাঠিয়ে আরো দ্রুত ফলাফল বের করা হয়। একে বলা হয় থ্রেডিং। এইজন্য এক বা একাধিক ডাই-তে একাধিক কোর বসিয়ে মাল্টি-কোর সিপিইউ তৈরী করা হয়।

ডাটা ইনটেজার টাইপ:

প্রসেসর কী হারে ডাটা নিয়ে কাজ করে সেই পরিমাপকে বলা হয় ডাটা ইনটেজার টাইপ। প্রথমদিকে প্রসেসরগুলো ৪ বিট বা ৮ বিট হারে ডাটা ইনপুট নিয়ে কাজ করত। এখন সেটা ৩২ বিট, ৬৪ বিট ইত্যাদিতে পরিণত হয়েছে। ডাটা ইনটেজার এর উপর প্রসেসরের মেমরি অ্যাড্রেস করার ক্ষমতা নির্ভর করে। কোন প্রসেসর ৩২ বিট টাইপ হলে সেটা 232= 4,294,967,296 বাইট অর্থাৎ 4 গিগাবাইট পর্যন্ত মেমরি অ্যাড্রেস কাজ করতে পারে। যদিও কার্নেল আর অ্যাপ্লিকেশান লিমিটেশানের কারণে 3 গিগাবাইটের বেশি মেমরি অ্যাক্সেস করা সম্ভব হয়না। প্রসেসর ৬৪বিট টাইপ হলে  264=18446744073709551616 বাইট বা 16 এক্সবিবাইট আলাদা আলদা মেমরি ব্লক অ্যাড্রেস করতে পারে। এই কারণে ৬৪ বিট প্রসেসর যুক্ত সিস্টেম অধিক পরিমাণ মেমরি বা র‍্যাম নিয়ে কাজ করতে পারে। তবে বাস্তবে ৬৪বিট মেমরি অ্যাড্রেসিং করা সম্ভব হয়না ফিজিকাল লিমিটের কারণে। তাই ৬৪বিট সিস্টেম মুলত ৪৮ বা ৫২ বিট আকারে মেমরি অ্যাড্রেস করে থাকে।

প্রসেসরের শক্তি:

প্রতিটা প্রসেসরের শক্তি ওয়াটে হিসাব করা হয়। এই সংখ্যা প্রসেসরের ফ্রিকোয়েন্সি আর তাপমাত্রার মাঝে সম্পর্ক প্রকাশ করে। সম্পর্কটি হল –
P=CV2f
যেখানে P = ওয়াটে প্রসেসরের শক্তি
C = তাপমাত্রা
f = ফ্রিকোয়েন্সি

প্রসেসর ঠান্ডা রখার উপায়
 ডাইয়ের মাঝে বিদ্যুৎ প্রবাহের কারনে প্রসেসরে প্রচুর তাপ উৎপন্ন হয়। এই তাপকে সরিয়ে ফেলতে হিট সিঙ্ক এবং ফ্যান ব্যবহার করা হয়। অনেক ক্ষেত্রে লিকুইড কুলিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয় যেটা তরলের মাধ্যমে তাপ পরিবহন করে। ওভারক্লক করা প্রসেসর ঠান্ডা করতে তরল গ্যাস যেমন নাইট্রোজেন বাবহৃত হয়।
এই হল বিভিন্ন ধরণের হিটসিঙ্ক আর কুলিং ফ্যান –
10 হার্ডওয়্যার সমগ্র :: নাম তার প্রসেসর [পর্ব ০২] | Techtunes11 হার্ডওয়্যার সমগ্র :: নাম তার প্রসেসর [পর্ব ০২] | Techtunes
12 হার্ডওয়্যার সমগ্র :: নাম তার প্রসেসর [পর্ব ০২] | Techtunes
13 হার্ডওয়্যার সমগ্র :: নাম তার প্রসেসর [পর্ব ০২] | Techtunes
আর এখানে দেখানো হয়েছে কিভাবে তরল নাইট্রজেন দিয়ে প্রসেসর ঠান্ডা করা হচ্ছে –
14 হার্ডওয়্যার সমগ্র :: নাম তার প্রসেসর [পর্ব ০২] | Techtunes
তরল নাইট্রোজেন কুলিং সিস্টেম ইকুইপমেন্ট –
15 হার্ডওয়্যার সমগ্র :: নাম তার প্রসেসর [পর্ব ০২] | Techtunes
ল্যাপটপ এর হিটসিঙ্ক সিস্টেম –
16 হার্ডওয়্যার সমগ্র :: নাম তার প্রসেসর [পর্ব ০২] | Techtunes

পুরাতন দিনের প্রসেসর গুলো
 প্রথম মাইক্রো প্রসেসর বলা যেতে পারে ১৯৭১ সালে তৈরী ইনটেলের 4004 চিপকে। এটা মাত্র ৪ বিট উপায়ে কাজ করত। এর স্পীড ছিল মাত্র ৭৪০ কিলোহার্টজ। এর পিন ছিল ১৬ টা।
17 হার্ডওয়্যার সমগ্র :: নাম তার প্রসেসর [পর্ব ০২] | Techtunes
এর পরে ১৯৭৪ এ ইনটেল বাজারে ৮ বিট প্রসেসর আনে যেটার মডেল ছিল 8080. এর গতি ছিল ২ মেগাহার্টজ। ৪০ পিনের এই মাইক্রোপ্রসেসরটি অল্প পরিমাণে ১৬ বিট কাজ করতে পারত।
18 হার্ডওয়্যার সমগ্র :: নাম তার প্রসেসর [পর্ব ০২] | Techtunes
১৯৭৮ এ 8086 নামের প্রসেসর বাজারে এনে ইনটেল বেশ বড় মাপের সাড়া ফেলে দেয়। এটা ছিল ১৬ বিট প্রসেসর আর সর্বোচ্চ ১০ মেগাহার্টজ গতিসম্পন্ন।
19 হার্ডওয়্যার সমগ্র :: নাম তার প্রসেসর [পর্ব ০২] | Techtunes
তারপর ১৯৮৬ সালে আসে 80386 মডেলের প্রসেসর যা সম্পুর্ণ ৩২ বিট সাপোর্ট করত। এটা ১২ থেকে ৪০ মেগাহার্টজ গতিসম্পন্ন ছিল। এই প্রসেসরের মাধ্যমে নতুন আর্কিটেকচার IA-32 বা Intel Architecture 32-bit এর প্রচলন হয়। প্রোগ্রামাররা এটাকে মডেল হিসেবে নিয়ে সফটওয়্যার ডেভেলপ করা শুরু করে। তাই x86 নাম দ্বারা ৩২বিট সিস্টেম কে বোঝানো হয়।
20 হার্ডওয়্যার সমগ্র :: নাম তার প্রসেসর [পর্ব ০২] | Techtunes
80386 ফ্যামিলির আরো অনেক প্রসেসর আছে যাদের নাম অনুযায়ী বিভিন্ন আর্কিটেকচার তৈরী করা হয়। এগুলো i386, i486, i686 ইত্যাদি নামে পরিচিত। i686 বের করার পর থেকে ইনটেল ৬৪বিট প্রসেসর তৈরীতে হাত দেয়।
১৯৯০ এর  পর থেকে কয়েকটি কোম্পানি ৬৪বিট প্রসেসর তৈরীতে সফল হয় এবং কম খরচে উৎপাদন শুরু করে। প্রথম নিনটেনডো আর প্লে-স্টেশানে ৬৪ বিট আর্কিটেকচার ব্যাবহার করা হয়। AMD সবার প্রথমে ৬৪বিট প্রসেসর বাজারে ছাড়ে এবং সেই আর্কিটেকচারের নাম দেয় amd64. তাই তখন থেকে AMD64 সিরিজের প্রসেসর গুলো ৬৪বিট সফটওয়্যার ডেভেলপিং এর মডেল হিসেবে গৃহীত হয়। ৬৪বিট আর্কিটেকচার x86_x64 নামেও পরিচিত কারন এটা এমনভাবে তৈরী করা হয় যে এতে ৩২ বিট সফটওয়্যার চালানো সম্ভব হয়। প্রথম x86_x64 ভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম ছিল ইউনিক্স।
21 হার্ডওয়্যার সমগ্র :: নাম তার প্রসেসর [পর্ব ০২] | Techtunes
এছাড়া ৩৬বিট, ৪৮বিট, ১২৮বিট ইত্যাদি সিস্টেম আছে যেগুলো নিয়ে গবেষণা চলছে।


প্রসেসর নির্মানকারী কম্পানীগুলো
প্রথমে অনেকগুলো কোম্পানি রচেসসর তৈরীতে মনোযোগী হয়েছিল। তাদের মাঝে মটোরোলা, ভিআইএ, আইবিএম, ইনটেল ইত্যাদি অন্যতম। কিন্তু ইনটেল উন্নতমানের প্রসেসর তৈরি করে বাজার ছেয়ে ফেলায় বাকিরা সরে পড়ে। আইবিএম মূলত সুপার কম্পিউটার তৈরীতে ব্যাস্ত। এএমডি নামের কোম্পানি প্রসেসর তৈরীতে হাত দিয়ে ইনটেলকে বিপদে ফেলে দেয়। তাই ইনটেল নতুন নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে এএমডি এর সাথে প্রতিদ্বন্দিতা করে যাচ্ছে। অবশ্য চিপ-জায়ান্ট বলতে ইনটেলকেই বোঝানো হয়। পৃথীবিতে ইনটেল এর প্রসেসর সবচেয়ে বেশী বাবহৃত হচ্ছে।



ইনটেলের প্রসেসর ফ্যামিলি
ইনটেল এখনো 80xxx এর মডেলে প্রসেসর তৈরী করে যাচ্ছে। প্রতি ফ্যামিলির কোরের আলাদা আলাদা নাম আর একই কোর থেকে সৃষ্ট প্রসেসরের ভিন্ন ভিন্ন কোডনেম আছে। ইনটেলের যেসব সিরিজের প্রসেসর আছে তারা হল – পেন্টিয়াম, সেলেরন, আইটানিয়াম, কোর আই, জিওন, এটম ইত্যাদি। পেন্টিয়াম সিরিজের প্রসেসরগুলো হল প্রথমে একক কোর নিয়ে বের হওয়া বিভিন্ন ফ্রিকোয়েন্সি আর স্বল্প ক্যাশ মেমরির প্রসেসর। সেলেরন হল মোটামুটি একটু ভালো আর সুলভ প্রসেসর। আইটানিয়াম হল ৬৪বিট ফ্যামিলির প্রসেসর যেটা IA-64 আর্কিটেকচারের উপর নির্মিত। কোর সিরিজের প্রসেসরগুলো হল বেশ উন্নতমানের আর দামী। জিওন প্রচএসসর মূলত সার্ভার আর ওয়ার্কস্টেশানের জন্য। এটম হল আল্ট্রা পোর্টেবল মোবাইল প্রসেসর।
বেশি জনপ্রিয় কয়েকটি প্রসেসরের তুলনামুলক বর্ণনা দিলাম নিচের ছকে –
t হার্ডওয়্যার সমগ্র :: নাম তার প্রসেসর [পর্ব ০২] | Techtunes
একই নামের প্রসেসরের অনেকগুলো ভার্সন থাকে। যেমন কোর আই ৫ ৪৬০এম এ কোর ২টা, ক্যাশ মেমরি ৩ মেগাবাইট। কিন্তু কোর আই৫ ৭৮০ তে কোর ৪টা আর ক্যাশ মেমরি ৮ মেগাবাইট।

প্রসেসর ক্রয়ের সময় যা যা দেখে কিনবেন 
অবশ্যই ভালো গতিসম্পন্ন প্রসেসর কিনবেন। যেটার ক্লক স্পীড বেশি সেটা নিন।
  • একই নামের প্রসেসর ভিন্ন ভিন্ন কোরের হয়ে থাকে। ফিজিকালি যেটায় কোর বেশি সেটা নিন। যেমন অনেক প্রসেসরে একই ডাইতে দুইটা কোর থাকে, কিন্তু ডিভাইস ম্যানেজারে দেখায় চারটা। কারণ লজিকালি তারা আলাদা প্রসেসর হিসেবে কাজ করে। তাই ইন্টারনেটে জেনে ভালোটা নিন। যেমন কোর আই৭ Lynnfield এর  চেয়ে Gulftown কোডনেমের প্রসেসরে ২ টা কোর বেশি থাকে এবং ক্যাশ মেমরি প্রায় ৪ মেগাবাইট বেশি থাকে।
  • ক্যাশ মেমরি দেখে নিবেন। যেটার মেমরি লেভেল বেশি সেটা নিন। মেমরি লেভেল সমান হলে যেটায় মেমরি বেশি সেটা নিন। যেমন কোর আই৩ এর চেয়ে আই৫ লেভেল থ্রি মেমরি বেশি। তাই কোর আই৫ ভালো। আবার ডুয়াল কোরের চেয়ে কোর ২ তে লেভেল টু ক্যাশ মেমরি বেশি। তাই ডুয়াল কোরের চেয়ে কোর ২ ভালো।
  • বেশি ফ্রিকোয়েন্সি কিন্তু কম ক্যাশ মেমরির প্রসেসর নিবেন না। যেমন ডুয়াল কোর ৩ গিগাহার্টজের চেয়ে কোর ২ ডুয়ো ২.৮ গিগাহার্টজ বেশি ভালো।
  • প্রসেসরের যদি নর্থব্রিজ থাকে তাহলে বাস স্পীড আপনার সিস্টেম এর সাথে যায় কিনা তা দেখে নিন। সর্বোচ্চ পারফরমেন্স পেতে বেশি বাসযুক্ত মাদারবোর্ড আর প্রসেসর বাবহার করুন।
  • ডাই কোন টেকনোলজিতে নির্মিত তা বিচার করে নিন। কম ক্ষেত্রফলের ডাই মানে কম খরচে বেশি পারফরমেন্স। 45nm ডাইয়ের প্রসেসরের চেয়ে 32nm ডাইয়ের প্রসেসর অনেক বেশি সাশ্রয়ী।
  • প্রসেসর আপনার মাদারবোর্ড এর চিপসেটের সাথে কাজ করবে কিনা জেনে নিবেন। যেমন আপনি G41 চিপসেটে কোর আই সিরিজের প্রসেসর ব্যবহার করতে পারবেন না। আবার H57 চিপসেটে ডুয়াল কোর ব্যবহার করতে পারবেন না কারণ সেক্ষেত্রে সকেট কাজ করবেনা।
  • প্রসেসরের থ্রেডিং ক্ষমতা দেখে নিন। শক্তি বাচানোর জন্য প্রসেসরের কোর মাঝে মাঝে ইনঅ্যাকটিভ অবস্থায় থাকে। অনেক ক্ষেত্রে কোরের থ্রেডগুলোও অফ থাকে যেন অল্প কাজ যেমন গান শোনা, ভিডিও দেখার জন্য বেশি শক্তি ব্যায় না করতে হয়। এই কারণে আপনার প্রসেসর ২.৪ গিগাহার্টজ হলে আপনি সিপিইউ মিটারে মাঝে মাঝে ১২০০ মেগাহার্টজ দেখতে পারেন। এর মানে হল অর্ধেক কোর অফ আছে। একইভাবে ২.৫৩ গিগাহার্টজ প্রসেসরে ১১৮০ মেগাহার্টজ দেখা অস্বাভাবিক কিছু নয়। ল্যাপটপ এর ক্ষেত্রে এটা অনেক গুরুত্বপুর্ণ ব্যাপার।
এখানেই আজকের প্রসেসর নিয়ে টিউন শেষ। যারা আগের টিউন পড়ে CPU-Z নামের সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করেছিলেন তারা সহজেই প্রসেসরের সকল দরকারী তথ্য পেয়ে যাবেন সেটা থেকে। যারা করেন নি, তারা ডাউনলোড করে নিন এখান থেকে।

ডাউনলোড CPU-Z

আপনারা দেখে শুনে ভালো মানের প্রসেসর কিনবেন। টিউনটি পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

»» read more

পর্নো ওয়েব খুঁজতে একজোট ফেসবুক-মাইক্রোসফট



 

শিশুদের জন্য ক্ষতিকর এমন পর্নোগ্রাফি ওয়েবসাইটগুলো খুঁজে বের করার জন্য একজোট হয়েছে সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফট এবং সামাজিক যোগাযোগের সাইট ফেসবুক। গত শুক্রবার প্রতিষ্ঠান দুটি আনুষ্ঠানিকভাবে এ জোট গঠনের ঘোষণা দিয়েছে।
তারা জানিয়েছে, এই জোটের কাজ হবে শিশু পর্নোগ্রাফির ওয়েবসাইট এবং যারা এসব ওয়েবসাইট শেয়ার করে, তাদের খুঁজে বের করা। শিশু পর্নো ওয়েবসাইট খুঁজে বের করতে ফেসবুক মাইক্রোসফটের তৈরি ফটো ডিএনএ প্রযুক্তি ব্যবহার করবে।
ফেসবুকের সহকারী জেনারেল কাউন্সিল ক্রিস সন্ডারবি বলেন, 'এ পর্যন্ত আমরা দুই কোটি শিশুর ছবি স্ক্যান করেছি। এগুলো ওয়েবসাইট থেকে পর্নোগ্রাফি ছবি খুঁজে বের করতে আমাদের সহায়তা করবে। ফটো ডিএনএ ফেসবুকে আপলোড হওয়া লাখ লাখ শিশুর ছবি স্ক্যান করবে। এখান থেকেই খুঁজে বের করা হবে পর্নোগ্রাফি ছবিগুলো। এরপর যারা এসব ছবি শেয়ার করেন তাদের বিরুদ্ধে পুলিশি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
»» read more

সাহিত্য ম্যাগাজিন সাময়িকী


সাহিত্যের নানা বিষয় নিয়ে সাময়িকি নামের সমৃদ্ধ একটি ওয়েবসাইট রয়েছে। এতে বাংলা সাহিত্যের পাশাপাশি সমসাময়িক বিদেশি সাহিত্য এবং সাহিত্যিকদের নিয়ে রয়েছে আলোচনা ও নিবন্ধ। সাইটটির প্রথম পাতাতেই রয়েছে প্রচ্ছদসহ ওয়েবসাইটের বিভিন্ন বিভাগ ভিত্তিক লিংক। বুক রিভিউ বিভাগে ফিকশন, নন-ফিকশন, কবিতার বিভিন্ন বইয়ের আলোচনা, মুভি রিভিউ বিভাগে ডকুমেন্টারি, ভিডিও ইত্যাদির পাশাপাশি ইভেন্ট বিভাগে রয়েছে সাহিত্য নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠান, আড্ডা, কবিতা, নাটকের নানান খবর।সাক্ষাৎকার বিভাগে সাহিত্যে নোবেল বিজয়ীদের নিজেদের কথার পাশাপাশি বিশ্বখ্যাত সাহিত্যিকদের সাক্ষাৎকারও রয়েছে। এ ছাড়া গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ, উপন্যাসবিষয়ক আলোচনার পাশাপাশি রয়েছে সেরা সব সাহিত্যের অনুবাদ। এ ছাড়া আর্ট বিভাগে চিত্রকলা, ফটোগ্রাফি, ভাস্কর্য, স্থাপনার আলোচনা, বই সম্পর্কে আলোচনা, ই-বুকের খবরা খবর সহ নানা আয়োজনে সমৃদ্ধ এ সাহিত্য সাইটটি। হ-য-ব-র-ল বিভাগে সাহিত্যের পাশাপাশি নানা বিষয়ের লেখা পড়া যাবে। বিনা মূল্যে নিবন্ধনের মাধ্যমে যেকোনো লেখায় নিজের মতামতও জানানো যাবে। সাইটটি ভিজিট করতে চাইলে এই ঠিকানায় ক্লিক করুন এখানে www.samowiki.com
»» read more

জিমেইলে একাধিক মেইল সুবিধা চালু

0.24%
 
গড় রেটিং:
 
রেটিং :
undefined
এক সঙ্গে একই ব্রাউজারে একাধিক জিমেইল অ্যাকাউন্ট খোলা যাবে
জিমেইলে অ্যাকাউন্ট সাইন ইন করে একাধিক মেইল ঠিকানা ব্যবস্থাপনার সুবিধা চালু করেছে গুগল। গত বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে ফিচারটির উদ্বোধন করা হয়। গুগল জানিয়েছে, প্রয়োজনের তাগিদেই অনেকে একাধিক ই-মেইল ঠিকানা ব্যবহার করে থাকেন। ই-মেইল ইনবক্স পরীক্ষা এবং অন্যান্য কাজে সবগুলো অ্যাকাউন্টে আলাদাভাবে লগ-ইন করতে হয়। আলাদাভাবে লগ-ইন করায় অনেক বেশি সময় লাগে ব্যবহারকারীদের। এ সীমাবদ্ধতা দূর করার জন্য 'ই-মেইল ডেলিগেশন' ফিচার চালু করা হয়েছে। নতুন ফিচারটি একবার চালু করে ব্যবহারকারীরা একটি ই-মেইল অ্যাকাউন্টে লগ-ইন করে এক ক্লিকেই অপর অ্যাকাউন্টগুলোতে চলে যেতে পারবেন। এজন্য আলাদা করে লগ-ইন করতে হবে না। ফিচারটি চালু করার জন মূল জিমেইল অ্যাকাউন্টটিতে সাইন-ইন করতে হবে। এবার সেটিংস থেকে 'অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড ইমপোর্ট' বিভাগে যেতে হবে। এরপর 'গ্রান্ড অ্যাক্সেস টু ইওর অ্যাকাউন্ট' বিভাগের মাধ্যমে মেইল ঠিকানা যুক্ত করে নিতে হবে। এরপর মূল অ্যাকাউন্টে লগ-ইন করে উপর থেকে একটি থেকে আরেকটি অ্যাকাউন্টে যাওয়া যাবে। মেইল দেখার পাশপাশি সবগুলো সেটিংস কাস্টোমাইজ করার সুবিধাও পাওয়া যাবে ফিচারটির মাধ্যমে। এর আগে তৃতীয় পক্ষের টুলসের মাধ্যমে একাধিক মেইল ঠিকানার ই-মেইল পরীক্ষা করা গেলেও সেটিংস কাস্টোমাইজ করার সুযোগ ছিল না।
»» read more

মাউসের বাটন পরিবর্তন করা

 
ইচ্ছে করলেই আপনি আপনার মাউসের বাটন পরিবর্তন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখতে হবে পূর্বে যেটি ডান বাটন ছিল বর্তমানে তা বাম বাটন এবং পূর্বে যেটি বাম বাটন ছিল সেটি বর্তমানে ডান 
বাটন হিসেবে কাজ করবে । এজন্য Start Button থেকে Settings এ গিয়ে Control Panel ক্লিক করতে হবে। এরপর Mouse মেনোগ্রাম এ ডাবল ক্লিক করতে হবে। পরে Mouse Properties ডায়ালগ বক্সের Button ট্যাব থেকে  Switch Primary and secondary buttons লেখা চেকবক্স-এ সিলেক্ট করে Apply বাটনে ক্লিক করতে হবে। Apply বাটনে ক্লিকের পর মাউসের বাটন পরিবর্তন হয়ে যাবে। পরে যদি আবার বাটন পরিবর্তন করতে হয় তবে পূর্ববতী উপায়ে পরিবর্তন করা যাবে। এক্ষেত্রে Switch Primary and secondary buttons লেখা চেকবক্স-এ সিলেক্ট করে Apply বাটনে ক্লিক করতে হবে। এভাবেই আপনি বাটন পরিবর্তন এবং সংশোধন করতে পারেন।
ধন্যবাদ
»» read more

গ্রাফিক্স ডিজাইনে ইউলিড ফটো ইমপ্যাক্ট

দেশে গ্রাফিক্স ডিজাইনের ক্ষেত্রে সাধারণত অ্যাডোবি ফটোশপ এবং ইলাস্ট্রেটর সফটওয়্যারটিই বেশি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। তবে প্রথাগত এসব সফটওয়্যার ছাড়াও বাজারে বেশকিছু নান্দনিক এবং মজার ফিচার সমৃদ্ধ সফটওয়্যার পাওয়া যায়। এর মধ্যে 'ইউলিড ফটো ইমপ্যাক্ট' অন্যতম। ফটোশপে বিশেষ কোনো ইফেক্ট দেওয়ার জন্য অতিরিক্ত প্লাগইনস ব্যবহার করতে হয়। কিন্তু ইউলিড ফটো ইমপ্যাক্ট সফটওয়্যারটিতে এ ঝামেলা নেই। ডিজিটাল ফটোগ্রাফির সঙ্গে জড়িতদের জন্য সফটওয়্যারটি বেশ কাজের। সফটওয়্যারটির মাধ্যমে সহজেই ছবির প্রকৃত রূপটি আরও শৈল্পিকভাবে উপস্থাপন করা যায় বা মনের মতো করা যায়। অন্যান্য গ্রাফিক্স ডিজাইন সফটওয়্যারের চেয়ে এটি বেশ হালকা, তাই কাজেও অনেক বেশি গতিশীল বা সুবিধা আছে। এর মূল ইন্টারফেসটি গ্রাফিক্স ডিজাইন সফটওয়্যার ফটোশপের মতোই। তাই ফটোশপে যারা দক্ষ তাদের আলদা করে ফটো ইমপ্যাক্টের বিস্তারিত শেখার প্রয়োজন নেই তাতেই চলবে। সফটওয়্যারটিতে ডিজাইনের জন্য ইজি প্যালেট টুলস থেকেই মিলবে ডিজাইনের বিভিন্ন উপকরণ। ছবির বাম পাশেই থাকে পিক টুল, টেক্সট টুল, ড্রয়িং টুল, ক্রপ টুল, স্লাইস টুল ইত্যাদি। নিচের এই সাইটটি
 বা এই বাটন থেকে ডাউনলোড 
 
 
থেকে সফটওয়্যারটি
বিনামূল্যে ডাউনলোড করে নিতে পারেন আপনারা। পরে তা ইন-ইস্টল করে নিবেন।
ধন্যবাদ।
»» read more

সেলফোনে বাংলা ওয়েবসাইট দেখুন।



undefined
এবার আপনাদের জানাব সেলফোনে বাংলা ওয়েবসাইট দেখুন। মাল্টিমিডিয়া সেলফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন না এমন লোক খুব কম আছে। দিন দিন সেলফোনে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে নকিয়া সরাসরি বাংলা সমর্থন করলেও অন্য ব্র্যান্ড হ্যন্ড সেটগুলো সমর্থন করে না। এজন্য ইচ্ছা করলেও আপনি অন্যান্য ব্র্যান্ডের সেটে বাংলা ওয়েবসাইটে ঢুকতে  পরবেন না। তবে খুব সহজেই এর সমাধান করা যাবে। এ জন্য প্রথমেই প্রয়োজনেআপনার সেটে একটি অপেরা মিনি নামের একটি ক্ষুদ্র মোবাইল নেট ব্রাউজার। প্রথমে সেলফোনের ইন্টারনেট অপশনের অ্যাড্রেসবারে গিয়ে  m.opera.com/mini ঠিকানা দিয়ে এন্টার চাপুন এবং অপেরা মিনি ডাউনলোড করে নিন। এবার অপেরার অ্যাড্রসেবারে opera:config লিখে ok করতে হবে। এখন একটি ইউজার সেটিং বক্স আসবে। এখানে নিচের দিকে User Bitmap Fonts for Complex Scripts ঘরটিতে ণবং দিয়ে ঝধাব দিতে হবে। এবার Menu>Tools>Settings--এ গিয়ে Mobile View সক্রিয় করে Font Size G Large নির্বাচন করতে হবে। এখন ইউনিকোড সমর্থিত যে কোনো বাংলা ওয়েবসাইটে প্রবেশ করলেই পরিষ্কার বাংলা দেখা যাবে।
সকলকে ধন্যবাদ ভাল থাকবেন।
»» read more

কম্পিউটার হঠাৎ রিস্টার্ট হওয়া এবং তার পতিকার।

আজ আপনাদের জানাব কম্পিউটার হঠাৎ রিস্টার্ট হওয়া এবং তার পতিকার। অনেক সময় কাজ করতে করতে পার্সোনাল কম্পিউটার (পিসি) আচমকা রিস্টার্ট (বন্ধ হয়ে পুনরায় চালু হওয়া) হয়ে যায়। এতে অনেকেই ঘাবড়ে যান এবং বিরক্তি বোধ হয়। এ সম্পর্কে কিছু বিষয় খেয়াল করলেই রিস্টার্টের কারণ বুঝতে পারবেন। যেমন—
  • যদি উইন্ডোজ চালুর পর বারবার রিস্টার্ট হতে থাকে তবে এক্ষেত্রে প্রসেসরের কুলিং ফ্যান ঠিকমতো ঘুরছে কি না তা  দেখুনিন। কুলিং ফ্যান ঘুরতে সমস্যা হলে CPU পর্যাপ্ত তাপ বের করে দিতে পারে না, ফলে অনেক সময় পিসি রিস্টার্ট হতেপারে। ফ্যানটিতে ময়লা জমেছে কি না সেটাও খেয়াল করুন।
  • কোন যন্ত্র র্যামের জামের কারণে এটি হতে পারে। তা দেখে নিন।
  • রের্মের সমস্যার কারণে এটি হতে পারে। এক্ষেত্রে আপনার কম্পিউটারের  রেম খুলে পরিষ্কার কারে লাগাবেন।
  • ভাইরাসের কারণেও অনেক সময় পিসি আচমকা রিস্টার্ট হয়। এই আশঙ্কা এড়াতে কম্পিউটার নিয়মিত হালনাগাদ অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার দিয়ে পরীক্ষা (স্ক্যান) করুন।
  • উইন্ডোজের সিস্টেম ফাইলে ত্রুটি দেখা দিলে এই সমস্যা হতে পারে অথবা আপনার কম্পিউটারের উইন্ডোজ পরেযেতে পারে। এ রকম হলে নতুন করে উইন্ডোজ সেটআপ দিতে হবে।
  • পিসিতে নতুন কোনো যন্ত্রাংশ যোগ করার কারণেও এ সমস্যা হতে হতে পারে। এ রকম মনে হলে যন্ত্রাংশটি ওই ড্রাইভার আনইনস্টল করতে হবে। ভাল ভাবে নিয়োম জেনে ইনস্টল দিলে সমস্যা সমাধান হতে পারে।
  • বিদ্যুতের ভোল্টেজ ওঠানামার কারণে টা হতে পারে। এক্ষেত্রে আপনি আপনার CPU  তে  UPS  ব্যবহার করতে পারেন।
  • CPU এর কোন যন্ত্রাংশে প্রচুর ধুলাবালি জমার কারণেও অনেক সময় এ সমস্যা হতে পারে। তাই তা পরিষ্কার করে এ সমস্যা সমাধান করতে পারেন।
 সকলকে ধন্যবাদ।  মন্তব্য করবেন।
»» read more

প্রবন্ধ নিয়ে ওয়েবসাইট প্রকাশিত

প্রথম বারের মত বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন বিষয়ের প্রবন্ধ নিয়ে ইন্টারনেটে একটি ওয়েবসাইট প্রকাশিত হয়েছে। আর্ট, শিক্ষা, শিল্প, স্বাস্থ্য, ব্যবসা, প্রযুক্তি, চাকরি, কম্পিউটার, সংগঠন, খেলাধুলাসহ ইত্যাদি বিষয়ের প্রবন্ধ রয়েছে এই সাইটে। এই সাইটি ভিজিট করতে এখানে ক্লিক করুন এখানে: www.ideatodays.com ভিজিট করলে হইত পেতে পারেন আপনার কাংখিত তথ্যগুলো।
সকলকে ধন্যবাদ।
»» read more

দেশে নতুন অ্যান্টি ভাইরাস


undefined
সিকিউরিটি সলিউশন প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান আনল্যাব দেশের বাজারে আনল্যাব ভি ৩ ইন্টারনেট সিকিউরিটি সফটওয়্যারের উদ্বোধন করেছে। টেকনোলজি সলিউশনস লিমিটেডের মান্যগণ্য ব্যক্তি উদ্বোধন করেন। আনল্যাব ভি ৩ সফটওয়্যারের পরিবেশক টেকনোলজি সলিউশনস লিমিটেড। সিকিউরিটি টেকনোলজির উপর প্রাধান্য থাকলেও আনল্যাব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য সেন্ট্রাল ম্যানেজমেন্ট সলিউশন এবং দীর্ঘ পরিসরের নেটওয়ার্ক সিকিউরিটি প্রোডাক্টের সেবাও প্রদান করে থাকে। আনল্যাব ভি ৩ সিকিউরিটি সফ্টওয়্যার উইন্ডোজ-৭, উইন্ডোজ- ভিসটা, উইন্ডোজ- এক্সপি, উইন্ডোজ- ২০০০ অপারেট করতে সক্ষম হবে।
»» read more

সেলফোনে চালু হচ্ছে স্কাইপ ভিডিও কলিং

কম্পিউটারের পর এবার সেলফোনে সরাসরি স্কাইপ ভিডিও কল করা যাবে
ইন্টারনেটভিত্তিক টেলিফোনি সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান স্কাইপ এবার সেলফোনেও ভিডিও কলিং সেবা চালু করেছে। স্কাইপের মাধ্যমে সেলফোন থেকেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে কথা বলার পাশাপাশি ব্যবহারকারীরা ভিডিও দেখতে পারবেন। সেলফোনের ক্ষেত্রে বর্তমানে স্কাইপের ভয়েস কলিং সেবা চালু রয়েছে। আপাতত আইওএস ৪.২ অপারেটিং সিস্টেম নির্ভর ডিভাইস এবং আইফোন ফোরের জন্য ভিডিও কলিং সেবাটি চালু করা হয়েছে। অন্যান্য অপারেটিং সিস্টেমের জন্যও শিগগিরই সেবাটি চালু করা হবে। আইফোনে ভয়েস কলিংয়ের জন্য গত বছরের এপ্রিল মাসে প্রথম অ্যাপিল্গকেশন বাজারে আনে স্কাইপ। এরপর উইন্ডোজ মোবাইল, অ্যানড্রয়েড এবং সিমবিয়ান সহ অন্যান্য মোবাইল ফোন অপারেটিং সিস্টেমের জন্যও আলাদা সংস্করণ বাজারে এসেছে। স্কাইপ ব্যবহারকারীরা ইন্টারনেটের মাধ্যমে কম্পিউটার থেকে কম্পিউটারে ভিডিও কলিং সেবা পেয়ে থাকেন। স্কাইপ সেলফোনে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে সেলফোনে সেবাটি চালু করতে আগ্রহী হয়ে ওঠে বলে জানা যায়। এজন্য সফটওয়্যার ডেভেলপ করতে কাজ শুরু করা হয়। এদিকে সামাজিক যোগাযোগ সাইট ফেসবুকে স্কাইপ ভিডিও কলিং সেবা চালুর কথা জানানো হলেও তা অস্বীকার করেছে বলে জানা যায়।


»» read more

গতিময় ফায়ারফক্স

ওয়েবসাইট প্রথমবার ভিজিট করার সময় ব্রাউজার কিছু ডাটা হার্ডড্রাইভে সংরক্ষণ করে রাখে এবং পরে উক্ত সাইটটি ভিজিটের সময় সংরক্ষণ করা তথ্য থেকে লোড করে। তবে হার্ডড্রাইভের চেয়ে র‌্যাম থেকে তথ্য আনতে ব্রাউজারের কম সময় লাগে। এজন্য ব্রাউজারের ক্যাশ র‌্যাম নির্বাচন করে দিলে ব্রাউজারের গতিও অনেক বাড়বে। ব্রাউজার ক্যাশিংয়ের জন্য র‌্যাম নির্বাচন করতে ফায়ারফক্সের অ্যাড্রেসবারে about:config লিখে এন্টার চাপতে হবে। নতুন একটি বার্তা আসবে ব্রাউজারে, সেখান থেকে I’ll be careful, I promise! বাটনে ক্লিক করতে হবে। একটি ফিল্টার ঘর আসবে। সেখানে browser.cache লিখতে হবে। er.cache.disk.enableএ ডাবল ক্লিক করে এর ভ্যালু ভধষংব এবং browser.cache.memory.enableএর ভ্যালু true করতে হবে। এরপর যে কোনো জায়গায় রাইট ক্লিক করে ঘব> New>Integerএ ক্লিক করে browser.cache.memory.capacity টাইপ করে OK চাপতে হবে। পরের ফিল্ডে ১০০০০০ (১০০ মেগাবাইটের সমান) লিখে OK চেপে ফায়ারফক্স রিস্টার্ট করতে হবে।
ধন্যবাস সকলকে।

»» read more

ইন্টানেটে বাংলা লেখা পদ্ধুতি


এবার আপেনাদের জানাব ইন্টানেটে বাংলা লেখা সম্পর্কে। আপনারা অনেকেই বিষয়টি জানেনও। যাহোক আমরা অনেক সময় ইমেলে বাংলা লেখতে চাই কিন্তু হয় না। লেখার জন্য প্রথমে আপনাকে অভ্র কিবোডটি ডাউনলোড করতে হবে। ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করে। ডাউনলোড হয়ে গেলে তা ইনস্টল করতে হবে। ইনস্টল হয়ে গেলে তা ডেস্কটপের ডানকোন 


এরকম দেখাবে। এখন আপনি কোন ওয়েব সাইটে মন্তব্য করতে চাইলে বা কোন ই-মেইলে বাংলা লেখতে চাইলে শুধ এই English লেখা বাটনে ক্লিক করে বাংলা লেখতে পারবেন। কোন সমস্য হলে মন্তব্য বাংলা লিখে তা জানাবেন।
সকলকে ধন্যবাদ।
মন্তব্য করতে ভুরবেন না।
»» read more

ডেস্কটপ কেমন ভাবে কপি করা যায়

এবার আপনাদেরে সাথে শেয়ার করব ডেস্কটপ কেমন ভাবে কপি করা যায়। এ সম্পর্কে অনেকেই জানেন আবার অনেকেই জানেন না। যা হোক এবার দেখি কিভাবে তা সম্ভব। প্রথমে যে ডেস্কটপ কপি করতে চান সেঅবস্থায় রেখে কিবোড থেকে Ctrl চেপে ধরে Print Screen Sys Rq চাপুন বেস হয়ে গেল কপি করা। 


এবার কপি করা অংশ যেখানে Paste করতে চান সেখানে গিয়ে( যেমন Microsoft Word) গিয়ে Ctrl+V প্রেস করুন। হয়ে গেল আপনার ডেস্কটপ কপি বা পেষ্ট করা। এভাবে আপনি একটি ইনটারনেটের পেজকে প্রয়োজনের ক্ষেত্রে কপি বা পেষ্ট করাতে পারবেন।


সকলকে ধন্যবান ভাল থাকবেন।
মন্তব্য করতে ভুলবেন না।
»» read more

এক্সপেল্গারারে সংরক্ষিত তথ্য মোছা


ইন্টারনেট এএক্সপ্লোরের মাধ্যমে ওয়েবসাইট ভিজিট করার সময় সাধারণত ওই ওয়েবসাইটের ঠিকানা ইন্টারনেট এক্সপেল্গারার স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংরক্ষিত থাকে। চাইলে ওয়েবসাইটের ঠিকানা এক্সপেল্গারার বন্ধের সময় স্বয়ংক্রিয়ভাবে মুছে ফেলা যায়। এজন্য ইন্টারনেট এক্সপেল্গারারের tools অপশন থেকে internet option--এ যেতে হবে। Advance বাটন ক্লিক করতে হবে। এবার অনেক অপশন দেখা যাবে। অপশনগুলোর একবারে নিচে empty temporary internet files folder when browser is closedচেক করে ok চাপতে হবে।
»» read more

মেমোরি কার্ড পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে তা উদ্ধার কারার পদ্ধুতি


এবার  সেলফোনে মেমোরি কার্ড এর পাসওয়া ভূলে গেলে তা কিভাবে উদ্ধার করবেন তা আপনাদের জানাবো। সেলফোনে মেমোরি কার্ড সুবিধা থাকায় অনেকেই গোপনীয় তথ্যাবলি মেমোরি কার্ডেই সংরক্ষণ করে থাকেন। নিরাপত্তার খাতিরে সেগুলোতে পাসওয়ার্ডও দিয়ে রাখেন অনেকে। তথ্যগুলো দেখার জন্য অবশ্যই পাসওয়ার্ডটি মনে রাখতে হয়। পাসওয়ার্ড ভুলে গেলেও বিকল্প উপায়ে তথ্যগুলো রিকভার করার সুযোগ রয়েছে। এজন্য অবশ্য মোবাইল এফএক্সপেল্গারার নামক একটি সফটওয়্যার ইনস্টল করা থাকতে হবে। www.gosymbian.com/FE_download.html থেকে ক্লিক করে Skip ad ক্লিক করে সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করা যাবে। সফটওয়্যার ইনস্টল শেষে চালু করতে হবে। এরপর C:—-Szstem—-(mmcstore)file Uv Copyকরে মেমোরিকার্ডে Paste করতে হবে। মেমোরিকার্ডে Copy করা mmcstore file ভরষব টির শেষে .txt এক্সটেনশন যুক্ত করতে হবে। ফাইলের নাম হবে mmcstore.txtএরপর কম্পিউটারে ফাইলটি বল্গূটুথ, ডাটাকেবল বা অন্য কোনো মাধ্যমে প্রেরণ করতে হবে। এবার ফাইলটি কম্পিউটারে খুলে Text Document এ দেখা যাবে মেমোরি কার্ডের পাসওয়ার্ডটি দেওয়া রয়েছে। এটাই আপনার পাসওয়ার্ড।
সকলকে ধন্যবাদ।
কমেন্ট করতে ভুলবেন না।
»» read more

বাড়তি সফটওয়্যার ছাড়াই পেনড্রাইভের অটোরান বন্ধ

ডেটা স্থানান্তরের জন্য ব্যবহার করা হয় পেনড্রাইভ। কম্পিউটারে ভাইরাস ছড়ানোর জন্যও দায়ী পেনড্রাইভ। ডেটা স্থানান্তরের জন্য যখন কম্পিউটারে পেনড্রাইভ যুক্ত করা হয়, তখন অনেক সময় পেনড্রাইভ স্বয়ংক্রিয়ভাবে (অটোরান) খুলে যায় এবং পেনড্রাইভে ভাইরাস থাকলে তা কম্পিউটারে ছড়িয়ে পড়ে।
পেনড্রাইভের অটোপ্লে বা অটোরান বন্ধ করার জন্য প্রথমে Start মেনু থেকে Run-এ ক্লিক করে gpedit.msc লিখে Ok-তে ক্লিক করুন। যে উইন্ডোটি আসবে সেটিতে User configuration-এর বাঁ পাশের (+)-এ ক্লিক করে Administrative Templates-এর বাঁ পাশের (+)-এ ক্লিক করুন। তারপর System-এ ক্লিক করলে দেখবেন ডান পাশের উইন্ডোতে Turn off Autoplay নামে একটি লেখা এসেছে। সেটিতে দুই ক্লিক করে Enable নির্বাচন করুন।Turn off Autoplay on অংশে All drives নির্বাচন করে Ok করে বেরিয়ে আসুন।
পেনড্রাইভ কখনো দুই ক্লিক করে খুলবেন না। প্রয়োজনে অ্যান্টিভাইরাস দিয়ে স্ক্যান করে ফোল্ডার অপশনের সাহায্যে বা মাই কম্পিউটারের অ্যাড্রেসবারের মেনুতে ক্লিক করে পেনড্রাইভ নির্বাচন করে খুলুন।
»» read more

জানুন আপনার ওয়েবসাইটের মূল্য

আমাদের প্রায় সবারই ব্লগ আছে, কারো কারো প্রফেশনাল ওয়েবসাইটও আছে। আমরা অনলাইন থেকে আয়ের উদ্দেশ্যই হয়তোবা যার যার ওয়েবসাইট তৈরি করছি। আমি এখন আপনাদের এমন একটি ওয়েবসাইটের কথা বলব যেখানে আপনি আপনার ওয়েবসাইটটির মূল্য জানতে পারবেন এবং ওযেব সাইটটি বিক্রিও করতে পারবেন।  তো জেনে নিন আপনার প্রিয় ওয়েবসাইটটির মুল্য। প্রথমে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন। উপরে দেখুন লিখা আছে  “How much is your website worth”। এখন নিচে খালি জায়গায় আপনার ওয়েবসাইটটির URL দিন। তারপর ক্লিক করুন “Estimate Website Value” । কিছুক্ষন এর মধ্য আপনার ওয়েবসাইট এর মূল্য জেনে যাবেন। নিচের ছবিটা দেখুনঃ-



আমাদের মামাবাংলাদের ব্লগের দাম ১০$ বা ৭০০ টাকা
$ এর নিচে
Our tracking system will send you a weekly report about this website value. It will also warn you if this website ever become for sale.
Your email:
এখানের আপনার ই-মেইল দিবেন।
আপনাদের মন্তব্য পরবর্তী লিখা লিখতে আমাকে উৎসাহ প্রদান করবে।
»» read more

তথ্য বিক্রির পরিকল্পনায় ফেসবুক

সামাজিক যোগাযোগ জায়ান্ট ফেসবুক ব্যবহারকারীদের হালনাগাদ তথ্য বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিভিন্ন বাণিজ্যিক সংস্থার কাছে তথ্য বিক্রি করবে তারা। বর্তমানে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের কার কী পছন্দ কিংবা
বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে কোন ধরনের বিষয় নিয়ে চ্যাট করছে এরকম ব্যক্তিগত তথ্য চলে যাবে বিজ্ঞাপনদাতাদের হাতে। প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যবহারকারীদের প্রোফাইলের যাবতীয় তথ্য, হালনাগাদ স্ট্যাটাস, চ্যাটিং বার্তা এবং অন্যান্য তথ্য বিশেল্গষণ করবে এবং ক্রেতার মানসিকতা, প্রয়োজনীয়তা, ভালোলাগার বিষয় খেয়াল রেখে সে অনুযায়ী তাদের কাছে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করবে। এভাবে কোম্পানিগুলোও সহজেই তাদের সম্ভাব্য ক্রেতা খুঁজে পাবে। কোনো এক তরুণী যদি ফেসবুকে তার ব্যক্তিগত সম্পর্কের বিষয়ে সিঙ্গেল থেকে এনগেজড নির্বাচন করে তখন তাকে তার নিকটস্থ ম্যারেজ মিডিয়ার বিজ্ঞাপন দেখানো হবে। আবার যদি মধ্যবয়স্ক কোনো ব্যক্তি মোটর সাইকেল চালানোকে শখ হিসেবে উলেল্গখ করেন তবে তাকে বিভিন্ন কোম্পানির চমকপ্রদ বাইকের ছবিযুক্ত বিজ্ঞাপন দেখানো হবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এভাবে বিজ্ঞাপন প্রচারিত হলে সামাজিক যোগাযোগের পাশাপাশি ফেসবুক ক্রেতা-বিক্রেতাদের এক মহা মিলনমেলায় এবং অনন্য বাজারে পরিণত হবে। তবে ২০০৭ সালে এ ধরনের উদ্যোগ নিলে ব্যাপক সমালোচনার মুখে ব্যবহারকারীদের তথ্য বিক্রির পরিকল্পনা বাদ দেয় ফেসবুক।
»» read more

জিমেইল ঠিকানা ডিলিট করা

গুগলের ওয়েবমেইল সেবা জিমেইলে অনেকেরই একাধিক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। জিমেইলে নিজের কোনো মেইল ঠিকানা ইচ্ছে করলে মুছে ফেলা যায়। এ জন্য প্রথমে িি.িমসধরষ.পড়স-এ ঢুকে নিজের আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে অ্যাকাউন্টটি খুলতে হবে। এরপর ওপরে ডান দিকে ঝবঃঃরহমং-এ ক্লিক করে অপপড়ঁহঃং ধহফ ওসঢ়ড়ৎঃ-অপশনে ক্লিক করার পর মড়ড়মষব অপপড়ঁহঃ ংবঃঃরহমং-এ ক্লিক করতে হবে। এরপর ঢ়ৎড়ফঁপঃং-এর ঊফরঃ লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে। সবশেষে জবসড়াব মসধরষ ঢ়বৎসধহবহঃষু ক্লিক করলে অ্যাকাউন্টটি মুছে যাবে।
»» read more

ইন্টারনেট থেকে আয়ের তথ্য


 
ইন্টারনেটে আয় এখন তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্বে একটি অন্যতম জনপ্রিয় ধারণা। ইন্টারনেট থেকে টাকা আয়ের কৌশল ও তথ্য নিয়ে নতুন একটি ওয়েবসাইট প্রকাশিত হয়েছে। এতে ইন্টারনেট থেকে টাকা আয়ের বিভিন্ন পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য রয়েছে। কীভাবে আউটসোর্সিং শুরু করতে হবে কোন কোন ওয়েবসাইটে ভালো কাজ পাওয়া যায় সে বিষয়ে দিক-নির্দেশনা রয়েছে। এছাড়া দেশে প্রায়ই ইন্টারনেটে আয় নিয়ে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এই সাইটটির মাধ্যমে কর্মশালার খবর, ডাটা এন্ট্রি, পেমেন্ট পদ্ধতির তথ্য সহজেই জানা যাবে। ইন্টারনেটে আয়ের পদ্ধতির মধ্যে গুগল অ্যাডসেন্স, পেইড টু ক্লিক, পে পার ক্লিক, ওডেস্ক, ডিজিটাল পয়েন্ট, রেন্ট আ কোডার, গেট আ ফ্রিল্যান্সার, পেমেন্ট গেটওয়ে, অ্যাফিলিয়েটস মার্কেটিং, রিভিউ, হাইপ, ডোমেইন পার্কিং ইত্যাদি কি, কীভাবে করতে হয় তার বিস্তারিত উলেল্গখ করা হয়েছে সাইটটিতে। পে-পাল, মানিবুকারসের মাধ্যমে কিভাবে পেমেন্ট নেওয়া যায় তাও জানা যাবে এখান থেকে। ওয়েবসাইটের ঠিকানা :
http://online-work-from-home.com
»» read more

নিজে নিজেই তৈরী করি একটি সামাজিক নেটওয়ার্ক ওয়েবসাইট

আজ আমি আপনাদের সাথে যে জিনিস টি শেয়ার করব তা হল ফেইসবুক বা টুইটার এর মত একটি সামাজিক যোগাযোগ সাইট বানানোফেইসবুক বা টুইটার এর  কিছু সুবিধা সম্বলিত একটি মাইক্রো ব্লগ ওয়েব সাইট বানানোর টিপস দিবএকটি ওপেনসোর্স সফটওয়্যার দিয়ে এটি করা সম্ভবসেই সফটওয়্যারের সাথেই পরিচয় করিয়ে দিব ও তার ইনস্টল প্রক্রিয়ার বিবরণ দেব

কি কি সুবিধা আছে জে-কাউ স্ক্রিপ্টেঃ

Jcow একটি ওপেন সোর্স সফটওয়্যার যার মাধ্যমে খুব সহজেই আপনি একটি সুন্দর মাইক্রোব্লগ ওয়েবসাইট বানাতে পারবেনএই স্ক্রিপ্টে মাইক্রোব্লগের নিন্মোক্ত সুবিধা গুলো দেখা যায়
লাইফ স্ট্যাটাস দেওয়া
ছবি, ভিডিও, মিউজিক শেয়ারিং
ওয়াল পোস্ট
ইভেন্ট তৈরী ও পরিচালনা
ব্লগ
আরও আনেক কিছু যা নিজে না দেখলে বুঝবেন নাতাছাড়া সর্বোচ্চ ক্ষমতার এডমিন পেনেল তো থাকছেইডেমো দেখতে  এখানে যান
এবার আসুন কাজ শুরু করি,
প্রথমে এখান থেকে  স্ক্রিপ্ট টি ডাউনলোড দিয়ে নিন
এবার স্ক্রিপ্ট টি সরাসরি আপনার হোস্টিং এ আপলোড দেন, তারপর আনজিপ করুনঅথবা আনজিপ করে তারপর আপলোড করেনএ ক্ষেত্রের এফটিপি সফটওয়্যার দিয়ে আপলোড করতে পারেন
এবার আপনার ওয়েব সাইটির লিঙ্ক এর সাথে /install.php  লিখে ব্রাউজ করেন
নিচের মত একটা পেইজ আসবে,
hello
সব তথ্য সঠিক ভাবে দিয়ে I Agree To this License Agreement Begin Install এখানে ক্লিক করেননিচের মত একটি পেইজ আসবে
hello2
Go To Your Network এ ক্লিক করেনএই তো বানানো হয়ে গেল ফেসবুক এর মত একটিওয়েব সাইটএবার আপনি আপনার এডমিন ই-মেইল, পাসওয়ার্ড দিয়ে আপনার ওয়েবসাইট এ লগ ইন করুনআপনার এডমিন প্যানেল থেকে আপনার ওয়েব সাইটটি মনের মত সাজিয়ে নেন
কোন সমস্যা হলে আমাকে লিখবেন, আমি সমাধান দিতে চেষ্টা করব
সবাই ভাল থাকবেনসবাই দোয়া করবেন আমি যেন  ভাল থাকতে পাড়ি। *প্রকৃত পক্ষে এটি একটি তৈরী করা সিএমএস যা সারভারে সেটআপ প্রনালী শিখানো হলোপ্রকৃত অর্থে ওয়েবসাইট তৈরী করা নয়আল্লাহ হাফেজ
»» read more

এইচটিএমএল শুরু

এবার আমি আপনাদের সামনে এইচটিএমএল নিয়ে আলোচনা করব। হাইপার টেক্সট মার্কআপ ল্যাঙ্গুয়েজের পূর্ণরূপ হলো এইচটিএমএল। এইচটিএমএলকে বলা হয় ওয়েবসাইটের ভাষা। ইন্টারনেট ব্রাউজারগুলো শুধু এইচটিএমএল ভাষার ওপর ভিত্তি করেই যে কোনো সাইট প্রদর্শন করে থাকে। ওয়েবের উদ্ভাবক টিম বার্নার্সলি ১৯৯০ সালের শেষদিকে প্রথমবারের মতো এইচটিএমএল ব্যবহার শুরু করেন। প্রতিটি ওয়েবসাইট নির্দিষ্ট কিছু ট্যাগভিত্তিক এইচটিএমএল ভাষা নিয়ে গঠিত হয়। এইচটিএমএলের সর্বশেষ প্রযুক্তি এইচটিএমএল ফাইভ।
»» read more

বতর্মান এসেছে উবুন্টুর নতুন সংস্করণ

আশা করি সবাই  ভাল আছেন। এবার জানাব ওপেন সোর্সভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম উবুন্টুর নতুন সংস্করণ ছাড়া কথা । গত বৃহস্পতিবার ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান ক্যানোনিক্যাল ন্যাটি নারওয়াল কোডনেমের ১১.০৪ সংস্করণটি অনলাইনে ছাড়ে। নতুন সংস্করণটিতে অপারেটিং সিস্টেমের পারফরমেন্স বাড়াতে লিনাক্স কার্নেলের ২.৬.৩৮.৩ সংস্করণটি যুক্ত করা হয়েছে। স্বয়ংক্রিয়ভাবে কম্পোজ উইন্ডো ম্যানেজার ব্যবহারের জন্য সংযোজিত হয়েছে 'ইউনিটি' নামের পরিচ্ছন্ন ডেস্কটপ ইন্টারফেস। এটি মূলত নোম ডেস্কটপ শেলের বদলে তৈরি করা হয়েছে। ইউনিটি থ্রিডি ইন্টারফেসের কারণে উবুন্টুর এই সংস্করণটি ভিজ্যুয়াল দিক থেকে অনেক আকর্ষণীয় হয়েছে। ৭০০ মেগাবাইটের আইএসও ফাইলটি উবুন্টুর নিজস্ব ওয়েবসাইট http://www.ubuntu.com/download থেকে ডাউনলোড করা যাবে। আশা করি ডাউন লোড করবেন । কমেন্ট করবেন।
»» read more

অনলাইনে ঘরে বসে সহজেই আয় করুন Fiverr এর মাধ্যমে

সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়া শুরু করলাম ইন্টারনেট এ ঘরে বসে আয় বিষয়ক আমার প্রথম লেখার কাজ। ইন্টারনেট এ ঘরে বসে আয় বা আউটসোর্সইং এই কথাটি আজ প্রযুক্তির কল্যাণে আমাদের তরুন প্রজন্মের মুখে মুখে আজ ঘুরছে। সেই সাথে আমদের দেশের তথা কথিত কিছু প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে  যারা “ইন্টারনেট এ ঘরে বসে আয়” বা “আউটসোর্সইং” এর প্রশিক্ষণ এর মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় কারার সপ্ন দেখিয়ে আমাদের তরুন সমাজের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা। ফলে আমাদের দেশের তরুনেরা প্রতারিত হয়ে বিদায় নিচ্ছেন। প্রযুক্তি বিষয়ে আমার জ্ঞান খুব ই কম তবুও আমার মাঝে যা আছে তা যদি সবার মাঝে ছড়িয়া দিতে পারি তবেই আমার কষ্ট সার্থক।
যাই হোক, আজ আমি সবাই কে আমার প্রিয় এবং বিশ্বজুড়ে খুবই জনপ্রিয় একটি সাইট এর সাথে পরিচই করিয়া দেব। সাইটটি হলঃ http://www.fiverr.com । সাইটটির ইন্টারফেস এরকমঃ

এই সাইট টির বিশেষত্ব হচ্ছে, এখানে আপনি আপনার পণ্য বা সেবার বিজ্ঞাপন বিনা টাকায় দিতে পারবেন। সেই বিজ্ঞাপন গুলোকে বলা হবে গিগ। আপনার গিগ যদি কারো পছন্দ হয় তা হলে তিনি $৫ এর বিনিময়ে আপনার গিগ টিকে অর্ডার করতে পারেন। কারন এই সাইট এর সব কাজ ই হয় $৫ এর। এই সাইট টির ট্রাফিক অত্তন্ত বেশি ( প্রায় ৪০,০০০ প্রতি দিন)। তাই বলা যাই না, ভাগ্য ভালো থাকলে প্রতিদিন ২-৩ টি অর্দার পাওয়া কোন বিষয়ই না। আমি নিজের কথা বলতে পারি। আমি প্রতিদিন ৩-৪ টি অর্ডার পাই।
কাজের বা গিগ এর ধরনঃ
একটু খেয়াল করলে আপনি সহজেই বুঝতে পারবেন কোন ধরনের গিগ আপনাকে পোস্ট করতে হবে। না না ভয় পাবার কিছু নেই। এখানে রয়েছে বিভিন্ন বিভাগ। এই বিভাগ গুলোর যেকোনোটিতে আপনি যতো খুশি ততো গিগ প্রতিদিন জমা দিতে পারেন। তবে বেশি গিগ দিলেই যে বেশি অর্ডার পাওয়া যায় কথাটি এমনও নয়। আমি এখনও মাঝে মাঝে আমার ১ম গিগ থেকেও অর্ডার পাই। পুরো ব্যাপারটি নির্ভর করছে আপনার গিগ এর ধরন, নিজস্বতা, আর আপনার পণ্যের চাহিদার উপর। বিষয়টি আরও ভালোভাবে বললে, গিগ এর চাহিদা ও আপনার লেখার সৃজনশীলতার উপরই নির্ভর করে আপনার গিগ এর সফলতা। আপনি যদি নিজেকে সৃজনশীল ভাবে উপস্থাপন করতে পারেন তবে আমার মনে হয়না যে ১ম অর্ডারটি পেতে আপনাকে খুব বেশি আপেক্ষা করতে হবে। তবে, সব সময়ই যে একই ধরনের লেখা লিখে সফল হবেন তা ভাবা টাও ঠিক নই। কখনই অন্যদের গিগ নকল করবেন না। যদি দেখা যাই অর্ডার পাওয়া যাচ্ছে না তাহলে গিগ এর বিষয় পরিবর্তন করুন, লেখায় বৈচিত্র্য আনুন। সফলতা আসবেই। আমি পারছি আপনি কেন পারবেন না? আর এখানে টাকার অঙ্ক টাও কিন্তু নেহাত কম নয়। প্রতিটি গিগ সেল $৫ (৳৩৫০)। যদিও সাইটটি সার্ভিস চার্জ বাবদ $১ কেটে রেখে $৪ পেমেন্ট করে। এই সাইট এর রেজিস্ট্রেশন এর নিয়ম অন্যান্য সাইট এর মতই খুবই সাধারন।
আমি আমার একটি গিগ এর উদাহরন দিচ্ছি যেটা একটা সময় খুবই হট গিগে পরিনত হয়াছিল।
1. I will give you wordpress tutorial for $5. (৫ সেল)
2. I will create 10 gmail or youtube account for $5. ( ৭ সেল)

গিগ দেয়ার পর ক্রেতার কাছে আপনার গিগ এর একটি বর্ণনা দিন। কীওয়ার্ড গিগ সম্পর্কিত কিছু কীওয়ার্ড দিন। যেমনঃ আমি আমার ১ম উদাহরন এর জন্য দিয়েছিলাম WordPress, Tutorials, E-Book, CMS, Learn, Easy. তারপর আপনি কতো দিনে কাজটি শেষ করতে পারবেন তা উল্লেখ করুন। আপনি যদি আপনার নিজের কোন পণ্য এখানে সেল করতে চান তার জন্য এর পর রয়েছে এ রয়েছে শিপিং এর অপশন। সবশেষে আপনার পণ্য এর এক বা একাধিক  ছবি(ই-বুক এর ছবি) আপলোড করুন। তারপর ওকে দিন।
এখানে যে ধরনের গিগগুলো বেশি সেল হয় তার মধ্যে সবার উপরে রয়েছে টিউটোরিয়াল ভিত্তিক গিগ। এর পরই আছে প্রোগ্রামিং , ফান, সামাজিক যোগাযোগ এর গিগ ইত্যাদি। টিউটোরিয়াল ভিত্তিক ই-বুক আপনি গুগল থেকে বা অন্য যেকোনো ফ্রী ই-বুক এর সাইট থেকে ফ্রী ডাউনলোড করতে পারেন। তবে আপনাকে অবশই আপনার পন্নের মান নিশ্চিত করতে হবে। এবং আপনার নির্ধারিত সময়ই এর মধ্যেই কাজ জমা দিতে হবে অথবা বায়ার কে আপনার সমস্যার কথা জানিয়া সময় চেয়ে নিতে হবে। নইলে পরবর্তীতে এর অর্ডার না পাবার বা বয়ার ওরদার বাতিল করতে পারেন বা আপনাকে বাজে রেটিং দিতে পারেন। বায়ের এর সাথে সকল আলোচনা অবশ্যই ঐ সাইট এর মেইল বক্স এ করতে হবে। আপনার কাজটি শেষ হলে কাজটি অবশ্যই ঐ সাইট এর মাধ্যমেই হস্তান্তর করতে হবে। কোন ক্রমেই বায়ের এর ই-মেইল অ্যাকাউন্ট এ পাঠানো যাবে না। আবার এখানে রয়েছে ঐ একই অ্যাকাউন্ট দিয়ে একজন বায়ার হিসাবেও কাজ করার সুবিধা। আপনি এই সাইট এ কিছু টাকা জমিয়া আপনার কোন কাজ এর জন্য গিগ চাইতে পারেন। আপনি আপনার গিগ গুলো ফেসবুক, টুইটার এ শেয়ার করতে পারেন। আবার এই সাইটটির উইডগেট ব্যবহার করে আপনি আপনার ওয়েবসাইট এ এই সাইট এ আপনার গিগ গুলোর বিজ্ঞাপন দিতে পারেন। এতে আপনার গিগ এ বাড়তি কিছু ট্রাফিক আসতে পারে। যা হতে পারে আপনার আয়ের একটি অন্যতম উৎস।
পেমেন্টঃ অনেক বক বক করলাম। এবার আসি টাকা উত্তলন এর কথাই। অর্ডার পাবার সাথে সাথেই টাকা বায়ার পুরো টাকা ইসক্রো করে দায়। তাই সময় মতো কাজ জমা দিলে টাকা পাবেনই। কাজ জমা দেয়ার ৩দিন এর মধ্যে বায়ার আপানর কাজটি গ্রহন করবেন ও আপনাকে রেটিং দেবে। এবং কাজটি গ্রহন করার টাকা আপনার অ্যাকাউন্ট এ জমা হবে এবং ১২ দিন এর মাথায় আপনার টাকা ক্লিয়ার করা হবে। যা আপনি আপনার পেপাল অ্যাকাউন্ট দিয়া সাথে সাথে তুলতে পারবেন। অনেকের মতে এই একটা কারনেই অনেকেই এই সাইট এ কাজ করতে ভয় পায়। কারন এই সাইট এ টাকা পাবার উপায় মাত্র একটি। আর তা হলো পেপাল যার কোন সাপোর্ট বাংলাদেশ এ নাই! কিন্তু আমি মনে করি না বর্তমান সময়ে এটি কোন সমস্যা। এখন আমাদের দেশে অনেক সফল ফিলানস্যার আছেন যারা বিভিন্ন উপায়ে পেপাল থেকে বাংলাদেশ এ টাকা আনেন। তাদের কাছে এ ব্যাপারে সহযোগিতা চাইলে তারা অবশ্যই আপনাকে সাহায্য করবেন। আমি অনেক মানুষকে দেখেছি যারা বিভিন্ন বাংলা ফোরাম (বিডিওএসএন) এর মাধ্যমে  দেশের সফল ফিলানস্যার কাছে পেপাল থেকে টাকা আনার জন্য সাহায্যচান। এবং আমি দেখেছি আমাদের দেশের সফল ফিলানস্যাররা কিভাবে তাদেরকে তাদের টাকা আনতে সাহায্য করেন। তাই বলছি, টাকা যদি আপনার অ্যাকাউন্ট এ থাকে তাহলে টাকা আনার জন্য খুব বেশি বেগ পেতে হবেনা। তারপরও যদি টাকা আনতে কোন সমস্যা হয় তাহলে আমিতো আছিই। তাহলে শুরু করে দিন না আজ থাকেই।
অনেক আগেই বলেছি কোন ওয়েবসাইট এ এটাই আমার ১ম বাংলা পোস্ট লেখা। কাজেই ইচ্ছা থাকা সত্তেও সব কথাগুলো গুছিয়া লিখতে পারিনি। আশা আপনারা সবাই এটিকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। পোস্টটি ভালো লাগলে বা কোথাও কোন সমস্যা মনে করলে কমেন্ট এর মাধমে জানাতে ভুলবেন না যেন। আপনাদের উৎসাহ পেলে আবার দেখা হবে। সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন। ধন্যবাদ।

সংগ্রহ বিজ্ঞান প্রযুক্তি খথকে। 
»» read more

বিনোদন বিষয়ক সাইট দেখুন

বাস্তবে দেখা জল প্রতিফলন।

Check Page Rank of your Web site pages instantly:

This page rank checking tool is powered by Page Rank Checker service

বি: দ্র:-কোন লিংক না দেখা গেলে SKIP AD-এ ক্লিক করবেন।

  • .
 
Blogger Widgets Read more: http://techtunes.com.bd/tutorial/tune-id/70142/#ixzz1Nh3anoHA