দ্রুত টাইপিং শেখার জন্য দারুন একটা সফটওয়্যার!


দ্রুত টাইপিং কে না শিখতে চায়? এটা বলতে গেলে সবারই একটা স্বপ্নের মতো। চাকরি বা বাসায় বা দোকানে দ্রুত টাইপ করার প্রয়োজনীয়তা প্রায় পড়ে। এখন এমন হয়েছে যে, যে দ্রুত টাইপিং করতে পারে না তার কম্পিউটার শেখা বেকার। কারণ দ্রুত টাইপিং করলে যেমন সময় বাচে ঠিক অন্য ভাবে Buyer ও বেশ খুশি থাকেন। দ্রুত টাইপিং শেখার জন্য বেশ কিছু সফটওয়্যার বাজারে পাওয়া যায়। আমি এখন আপনাদের সাথে একটা সফটওয়্যার শেয়ার করছি। এই সফটওয়্যারটা দিয়ে আপনারা টাইপিং বিভিন্ন ধাপে ধাপে শিখতে পারবেন। নিচে একটা স্ক্রীনশট দেওয়া হলোঃ




ডাউনলোডঃ
undefined


ব্যবহার করে দেখুন, আমার বিশ্বাস আপনাদের উপকারে লাগবে।
»» read more
hbgfhgf
gfhfghfg
fghfghf
fghfghfg
fghffg

»» read more

ফেসবুক থেকে সহজেই টাকা আয় করুন !! [না দেখলে সত্যি মিস করবেন]

"বিসমিল্লাহীর রহমানীর রাহীম"

আমরা সবাই জানি যে ফেসবুক হলো সামাজিক যোগাযোগ ব্যবস্থার একটি অন্যতম মাধ্যম। অনেকে মনে করেন যে ফেসবুক এর মাধ্যমে শুধু চ্যাটিং, ছবি ও ভিডিও আপলোড, আপডেট নিউজ পাওয়া যায়। কিন্তু অনেকে এটা জানেন না যে ফেসবুকের মাধ্যমে অর্থও উপার্জন করা সম্ভব। এটা খুবই সহজ। অর্থাৎ আমার জানা মতে হয়তবা এতো সহজে কোন প্রতিষ্ঠানে আয় করা যায় না। বুঝলেন না। এটা হলো একটা ফেসবুক এপ্লিকেশন। আপনারা এই ফেসবুক এপ্লিকেশন এ ৫ ডলার হলেই টাকা উত্তলোন করতে পারবেন পেপাল এর মাধ্যমে।
যেভাবে টাকা আয় করবেনঃ
এখানে ক্লীক করে এপ্লিকেশনটিতে যান।
যেভাবে টাকা আয় করবেনঃ
১. প্রতিদিন এপ্লিকেশনটিতে লগইন করলেই পাবেন ০.১ ডলার।
২. বিভিন্ন অফার পুরণ বা ব্যবহার করলেই পাবেন বিভিন্ন অংকের ডলার। যেমন ধরুন একটি অফার আছে। যেখানে বলা হয়েছে যে এই গেমটি অভার করলেই পাবেন ১.০০ ডলার। এখন আপনি ঐ গেমটা অভার করলেই আপনার একাউন্টে জমা হয়ে যাবে ১ ডলার।
৩. এপ্লিকেশনটি লাইক করলেই ডলার জমা হবে।
৪. এপ্লিকেশনটি সম্পর্কে ফেসবুকের বন্ধুদেরকে জানালেই ডলার জমা হবে।
৫. এছাড়াও আপনি প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করে ডলার জমা করতে পারেন।



আপনার একাউন্টে ৫ ডলার হলে আপনি টাকা পেপাল থেকে ইউথড্রো করতে পারবেন।

যে কারণে বিশ্বাস করা যায়ঃ
বিশ্বের অনেক মানুষ এই এপ্লিকেশন দ্বারা টাকা আয় করতে সার্থক হয়েছে। এই বিষয়ে ইন্টারনেটে অনেক ফোরাম, ফানপেজ, গ্রুপ, ভিডিও, আপডেট রয়েছে। এবং সেখানে প্রায় হাজার হাজার মানুষ অংশ গ্রহণ করছে। শুধু তাই না বাংলাদেশেও আমার মতো অনেক মানুষ এটার সাহায্যে আয় করছে।

নিচে যারা সবচেয়ে বেশি আয় করেছে তাদের একটা তালিকা দেওয়া হলোঃ 




এপ্লিকেশনটি একবার ব্যবহার করেই দেখুন। তাহলেই বুঝতে পারবেন।
ধন্যবাদ।
»» read more

PPC ওয়েব সাইট থেকে টাকা আয় পর্বঃ ১ [প্রাথমিক ধারণা]

আসসালামুআলাইকুম। আশাকরি মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে আপনারা ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি।
ইন্টারনেট থেকে অর্থ উপার্জন সম্পর্কে আমাদের মধ্য প্রায় একটা না একটা সংকোচ লেগেই আছে। তার কারণও অনেক। আমরা সবাই জানি যে ইন্টারনেট থেকে টাকা আয় করার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি আছে। যেমন ধরুনঃ কোন কিছু বিক্রি করে, ফ্রিল্যান্সিং কাজ করে, ফাইল শেয়ার করে, বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে, বিজ্ঞাপন এ ক্লীক করে ইত্যাদি। আমি আজকের পর্বে শুধু বিজ্ঞাপন এ ক্লীক করে টাকা উপার্জন করার বিষয়ে এখানে আলোচনা করছি। ইনসাআল্লাহ পরবর্তিতে অন্য বিষয়ের উপরেও আলোচনা করব। প্রথমে আসুন জেনে নেই PPC বলতে কী বুঝায়। মূলত PPC বলতে বুঝায় Pay Per Click অর্থাৎ প্রতি ক্লীক এ টাকা উপার্জন। এই PPC ওয়েব সাইটও বিশ্বে হাজার হাজার আছে। কিন্তু সেগুলোর মধ্যে আমাদেরকে বেছে বেছে সঠিক এবং বিশ্বাস যোগ্য ওয়েব সাইটকে নির্বাচন করতে হবে। আলোচনা শুরুর আগে আসুন জেনে নেই PPC এর যাবতীয় তথ্যাদি।
PPC আসলে কী?
PPC ওয়েব সাইটগুলোতে ক্ল্যাইন্টরা তাদের বিজ্ঞাপন গুলো দিয়ে থাকে। যাতে করে তাদের প্রতিষ্ঠানের প্রচার হয়। এখানে আপনার কাজ হলো বিজ্ঞাপনগুলো প্রদর্শন করা তাও একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য। একেকটি ওয়েব সাইটে এক এক ধরণের মূল্য দেওয়া হয়। কিন্তু বেশির ভাগ ওয়েব সাইট গুলোতেই ০.১ সেন্ট দেওয়া হয় প্রতিটি বিজ্ঞাপন এর জন্য। সাধারণত ৩০ সেকেন্ড ধরে একটি বিজ্ঞাপন দেখলেই জমা হয় ০.১ সেন্ট। এছাড়াও আপনারা রেফারেল এর মাধ্যমেও অর্থ উপার্জন করতে পারেন।
রেফারেল কী?
মূলত রেফারেল বলতে বুঝায় আপনার সাহায্যে কারো কোন প্রতিষ্ঠানে রেজিষ্টার করানো। [সংক্ষেপে বলা হলো]। PPC ওয়েব সাইটগুলোর একটা সুবিধা হলো যদি আপনার রেফারেলে কেউ রেজিষ্টার করে তখন আপনি সেই রেফারেলের জন্য নিদিষ্ট কিছু টাকা আপনার একাউন্ট এ যোগ হবে। বেশির ভাগ PPC ওয়েব সাইটেই মূলত এই সুবিধা রয়েছে।
এবার আসুন PPC ওয়েব সাইটগুলোর সত্যতা সম্পর্কে কিছু কথা জেনে নেইঃ
পৃথিবীতে বিভিন্ন অনেক PPC ওয়েব সাইট রয়েছে যারা আপনাদের দিয়ে কাজ করিয়ে নেই ঠিকই কিন্তু পেমেন্ট তারা করে না। তাই এগুলো ওয়েব সাইটে রেজিষ্টেশন করার পূর্বে অবশ্যই এগুলো সম্পর্কে প্রথমে খোজ খবর দেখে নেবেন। প্রয়োজনে ইউটুবিতে ভিডিও সার্চ করে পেমেন্ট এর সত্যতাও দেখে নেবেন।
»» read more

Bux.to তে একাউন্ট খোলার প্রক্রিয়া:

Bux.to দিয়ে খুব সহজেই ইন্টারনেট থেকে টাকা আয় করুন। [পেমেন্টের সত্যতা সহ]


ইন্টারনেট থেকে আয়ে করার অনেক PTC (paid to click) সাইট আছে, কিন্তু এর বেশির ভাগ সাইট কোন টাকা পরিশোধ করে না। আজকে আমি এইটি PTC নিয়ে বিস্তারিতভাবে বলবো যারা টাকা পরিশোধ করে ।
PTC তে কাজ করার পূর্বে আপনাকে Alertpay/ Paypal – তে একাউন্ট খুলতে । শুধু
Alertpay একাউন্ট-ই বাংলাদেশে এখনো সাপোর্ট । তাই আপনাকে Alertpay তে একটি একাউন্ট
খুলতে হবে। Alertpay তে চেকের মাধ্যমে টাকা তোলার সিস্টেম রয়েছে। তাই এখানে টাকা
তুলতে কোন ঝামেলা হয় না বললেই চলে। এবারে আসুন কিভাবে আপনি একাউন্ট খুলবেন।
Alertpay তে একাউন্ট খোলার জন্য ক্লিক করুন।
একাউন্ট খোলার পরে মোবাইল নাম্বার ভেরিফাই করতে হবে। মোবাইল ভেরিফাই শেষ হ লে
আপনার একাউন্ট রেডি হয়ে যাবে।
আমি যে PTC সাইত নিয়ে বলব সেতি হলো Bux.to, সাইটটি অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য একটি সাইট।
তাদের ফোরামে অনেক বাংলাদেশী সদস্য খুজেঁ পাওয়া গেছে যারা এ সাইট থেকে টাকা উপার্জন
করেছে। আমি এই সাইটের একজন নিয়মিত সদস্য। প্রতিদিন আপনি ২৫-৩০ টি এড’স দেখার সুযোগ
পাবেন । প্রতেক এড আপনি দেখবেন মাত্র ৩০ সেকেন্ড, প্রতি এড জন্য আপনি পাবেন ১
সেন্ট । সময়তো কতভাবেই নষ্ট হচ্ছে একবার না হয় একটা রিক্স নিয়েই দেখলেন।
এই সাইটে কাজ করতে গেলে প্রতিটি এডের সাথে ৩০ সেকেন্ড এর একটি ঘড়ি দেখতে পাবেন। ৩০
সেকেন্ড শেষ হয়ে Done লেখাটি উঠে একটি টিক চিহ্ন আসলেই বুঝবেন আপনার কাজ শেষ।
অবশ্যই এক আইপি এবং একটি কম্পিউটারে ১ টির বেশি একাউন্ট করতে পারবেন না। নিয়ম-এর বাইরে
কিছু করলে আপনার লগ ইন এড্রেসটি বাতিল করে দেবে।
রেজিষ্ট্রেশন করার সাথে সাথে আপনি পাবেন একটি রেফারেল আইডি। এই আইডি দ্বারা আপনি
আরও অনেক-কে রেফার করতে পারবেন। তাদের প্রত্যেকের আয়ের সমান পরিমান অর্থ জমা হবে
আপনার একাউন্টে। আপনি সমান পরিমান অর্থ পাবেন যখন তারা কাজ করবে।
তাই আর দেরি না করে সাইন আপ করুন ।
ধরুন, আপনার একটি একাউন্ট আছে সেখানে আপনি প্রতিদিন আয় করেন মাত্র ১০ সেন্ট আর
আপনার রেফারেল করেছেন ৫০ জনকে। এখন তারা প্রতেকে যদি মাত্র ১০ টি করে এডস ক্লিক করে,
তাহলে যে তারা পাবে ১০ সেন্ট করে এবং আপনি পাবেন মোট ১০+(৫০*১০)=৫.১ ডলার প্রতিদিন।
অর্থাৎ বাংলাদেশের হিসেবে ৩৫০ টাকা তাও আবার মাত্র ১৫ মিনিট সময় ব্যয় করে। এবার
সিদ্ধান্ত নিন করবেন কি করবেন না।
http://Bux.to তে একাউন্ট খোলার প্রক্রিয়া:
১.এখানে ক্লিক করে সাইটটিতে প্রবেশ করুন এরপর register লেখা বাটনটিতে ক্লিক করুন।
২. এরপর ফরমটি পূরন করুন।
undefined



 
















Select Bangladesh as your Country
মনে রাখবেন: Alertpay লেখা ঘরে Alertpay তে ব্যবহৃত ইমেইল এড্রেস, referrer ঘরে
edrish321
  লিখুন এবং I agree লেখা চেক বক্সটি ক্লিক করুন।
এরপর register বাটনে ক্লিক করুন।
কিভাবে কাজ করবেন:
১. লগ ইন বাটনে ক্লিক করে তৈরিকৃত একাউন্টটি দ্বারা লগইন করুন।
২. ইউজার নেইম, পাসওয়ার্ড এবং ক্যাপচা দিয়ে ঘরটি পূরন করে লগইন করুন।

 undefined


৩. লগইন হয়ে গেলে যে পেইজটি আসবে সেখান থেকে Surf ads বাটনে ক্লিক করুন।
৪. এই পেইজে যে লিঙ্কগুলো দেখতে পাচ্ছেন মূলত সেগুলোই হচ্ছে এডস। এরপর যেকোন
এড’স ক্লিক করুন। দেখবেন কিছু সময় পরে এড’দ পেইজে ৩০ সেকেন্ডের একটি ঘড়ি চলছে। ৩০
সেকেন্ড পরে ঘড়িটি বন্ধ হয়ে Done এবং পাশে একটি টিক চিহ্ন উঠবে। এখন আপনি পেইজটি
Close করে একইভাবে এই পেইজের সকল এড’স দেখুন।
৫. সকল এড’স দেখা শেষে আপনার মোট এমাউন্ট অর্থাৎ কত সেন্ট বা ডলার হল সেটি দেখে
নিন My Stats লিঙ্কটিতে ক্লিক করে।
৬. সবশেষে logout করে বেরিয়ে আসুন।
পেমেন্টের সত্যতা জানার জন্য এখানে ক্লীক করুন। 

»» read more

বিষয়ঃ এলার্টপে রেজিষ্টেশন পদ্দতি

বিসমিল্লাহির রহমানীর রাহিম
undefined
আশা করি সবাই ভালো আছেন।  যা হোক এলার্টপে সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই প্রাথমিক ধারণা আছে তাই আর এ বিষয়ে এখানে আলোচনা করবো না। এর আগে এলার্টপে সম্পর্কে একটি পোষ্ট করা হয়েছিল। আজকের পোষ্টের বিষয় বস্তু হলো এলার্টপে তে রেজিষ্টেশন। আপনাদের বোঝার সুবিধার্থে প্রতিটি ধাপ চিত্র সহকারে দেওয়া হয়েছে। আসুন মহান আল্লাহর নামে পোষ্টা শুরু করিঃ
১. প্রথমে এখানে ক্লীক করে এলার্টপে এ যান।
২. সেখানে Sign up বাটনে ক্লীক করুন।


undefined
৩. এবার Country তে Bangladesh সিলেক্ট করে দিন। আর Personal Starter এ ক্লীক করে চিক চিহ্ন দিন। তারপর Next Step বাটনে ক্লীক করুন।
undefined
৪. এবার একটি ফরম আসবে। সেটি যথাযথ ভাবে পুরুণ করুন। প্রয়োজনে চিত্রের সাহায্য নিতে পারেন।


undefined
৫. তারপর Next Step বাটনে ক্লীক করুন।
৬. আবার একটা ফরম আসবে। সেটি যথাযথ ভাবে পুরুণ করুন। প্রয়োজনে চিত্রের সাহায্য নিতে পারেন। 

[মনে রাখবেনঃ ১.Transaction Pin টি মনে রাখা অত্যান্ত জরুরী। কেননা এটা টাকা তোলার সময় প্রয়োজন পড়বে। ২. মোবাইল নম্বরটি ০ এর পর থেকে শুরু করুন অর্থাৎ ১৯১৫৫০২৫৫৬। ]
undefined
৭. You acknowledge that you have read and agree to AlertPay's User Agreement এর বক্সে ক্লীক করে টিক চিহ্ন দিয়ে দিন।
৭. সবশেষে Final Step বাটনে ক্লীক করুন।
৮. ফলে আপনার ই-মেইলে একটি লিং চলে যাবে।


undefined
৯. আপনার ই-মেইলে প্রবেশ করুন। দেখবেন এলার্ট পে থেকে একটি মেইল এসেছে। সেটি ওপন করুন। এবং ভেরিফিকেশন লিংক এ ক্লীক করুন।


৮. ব্যাস কাজ শেষ। এবার আপনি আপনার একাউন্টে চলে যাবেন। 

সেখানে প্রথমে $০.০০ ডলার দেখতে পাবেন। যখন কোন ওয়েব সাইট থেকে পেমেন্ট আসবে তখন ঐ ওখানে ডলারের অংক যোগ হবে। এবং পাশে একটি ম্যাসেজ আসবে।
আশা করি আপনাদের কাজে লেগেছে। 

ধন্যবাদ,
»» read more

সফটওয়্যার ছাড়াই যে কোন ব্রাউজারে বাংলা লিখুন!

লেখাটি আপনার পছন্দ হয়েছে?
উবুন্টুতে বাংলা লেখার দু’টি প্রক্রিয়া সম্পর্কে ইতোমধ্যে রাহাত ভাই লিখলেও, এটি একটু ভিন্ন। এই পদ্ধতিতে কোন সফটওয়্যার ইন্সটল না করেই ব্রাউজার থেকে বাংলা লেখা যাবে। তবে শুধু উবুন্টু নয়, অন্য যে কোন অপারেটিং সিস্টেমে এটি কার্যকর। মূলত এটি একটি ব্রাউজার বেজড বুকমার্কলেট। খুবই সহজে মাত্র একটি লিংক বুকমার্ক করে, আপনি এই সুবিধা পেতে পারেন। যে সকল পিসিতে সফটওয়্যার ইন্সটলের সুযোগ নেই, সেসব পিসিতে মজা করে বাংলা লিখতে পারবেন এই পদ্ধতিতে। চলুন দেখা যাক কিভাবে এটি করবেন।

প্রথম এ আপনার ব্রাউজারটি ওপেন করুন। অতঃপর এই লিঙ্ক এ ক্লিক করুন। এরপর একটি পেইজ খুলবে যেটি দেখতে হবে নিচের ছবির মত। সেখানে লাল টিক চিহ্ন দেয়া লিংকটুকু খেয়াল করুন।

অত:পর [অ Type in Bengali] লেখাটি ড্রেগ করে বুকমার্ক টুলবার এ নিয়ে যান। এর পর যে কোন ব্লগ বা ওয়েবসাইটে বাংলা লেখার জন্য ঐ বুকমার্ক এ ক্লিক করলে দেখবেন লেখা এসেছে “google tranliteration bookmarklet enabled”. এরপর থেকে আপনি ফোনেটিক এ বাংলা লিখতে পারবেন। পুনরায় একই জায়গায় ক্লিক করলে তা ডিসেবল হয়ে যাবে এবং ইংরেজিতে লিখতে পারবেন। যারা ওপেন অফিস এ কাজ করেন না, কেবল সার্ফ ও ব্লগ এ লেখালেখি করেন তাদের জন্য এইটি যথেষ্ট সাশ্রয়ী, এবং বলতে গেলে নরমাল একটা বুকমার্ক লিঙ্ক এর সাথে এর কোনো তেমন পার্থক্য নেই।

ছবি সহ আরও বিস্তারিত দেখতেঃ http://t13n.googlecode.com/svn/trunk/blet/docs/help_bn.html
»» read more

আপনার ব্লগটিকে জনপ্রিয় করার পদ্ধতি ! পর্বঃ ১ম  

বিসমিল্লাহীর রহমানীর রাহিম

আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেনআমার মতে আমাদের অনেকেরই ওয়েব সাইট আছেতাদের মধ্যে অনেকে নতুন ব্লগার এবং অনেকে প্রফেশনাল ব্লগারকিন্তু যারা নতুন ব্লগার তারা তাদের ব্লগকে কীভাবে জনপ্রিয় করবেন সেটা জানেন নাঅথবা সঠিকভাবে কাজের ধাপগুলো জানেন নাএকটি ব্লগের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি করার জন্য নানান কর্মসূচি হাতে নেয়া যেতে পারেএকটি ব্লগ যদি জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায় তাহলে ব্লগের পাঠক্ও বৃদ্ধি পায়আমি এখন আপনাদের ব্লগ এর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির জন্য বেশ কিছু টিপস সম্পর্কে জানাবো 

১. ইউনিক লেখাঃ
আপনার ব্লগে সম্পূর্ণ ইউনিক পোষ্ট করুনইউনিক বলতে সম্পূর্ণ আপনার নিচের ভাষায়একজন পরিপূর্ণ ব্লগার
এর মুল কাজই হলো ইউনিক পোষ্ট লেখাএটা ব্লগের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির জন্য অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণকারণ পোষ্টের লেখার মানের উপর ভিত্তি করে ভিজিটর ব্লগটিতে আসেযদি ব্লগের লেখার মান ভালো হয়, কিন্তু পাঠকগণ লেখাটি পরিপূর্ণ ভালো ভাবে বুঝতে না পারে তাহলে এটা সেই ব্লগার এবং ব্লগের অসাফল্য! তাই একজন ব্লগারের উচিত তার পোষ্টির লেখার মানের দিকে লক্ষ্য রাখা এবং লেখাটি যত সম্ভব পাঠকদের জন্য সহজলভ্য করার চেষ্টা করা

২. কপি পেষ্ট বর্জনঃ
কপি পেষ্ট খুবই খারাপ অভ্যাসকপি পেষ্ট একটা ব্লগের জনপ্রিয়তা নষ্ট করেএবং ব্লগের উপর পাঠকদের ভালোবাসা ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যেতে থাকেকপি পেষ্ট করলে ব্লগার অসন্মানিত হতে পারেনসত্যি বলতে কপি পেষ্ট এতটাই খারাপ যে ব্লগের ইউনিকতা নষ্ট করেপোষ্টের লেখার মান নষ্ট করেকিন্তু যদি কপি পেষ্ট করা অত্যান্ত জরুরী হয়ে পড়ে তাহলে পোষ্টে লেখকের নাম এবং পোষ্টির সুত্র প্রদর্শন করানো উচিতঅন্তত্য এতে করে পোষ্টের লেখার মান নষ্ট হয় না

৩. সার্চ ইঞ্জিননে ওয়েব সাইট সাবমিটঃ
আমরা সবাই জানি একটি ব্লগের ভিজিটরের প্রায় ১০ শতাংশ আসে সার্চ ইঞ্জিন থেকে কারণ ভিজিটর যখন সার্চ ইঞ্জিনে কোন কিছু খোজার জন্য সার্চ দেয় তখন সার্চ ইঞ্জিন থেকে তারা ঐ বিষয়ে নানান ওয়েব সাইটের লিং পায়তারা তখন সেই সব ওয়েব সাইটে ভ্রমন করেযদি ওখানে আপনার ব্লগের লিংটি থাকে তাহলে ভেবে দেখুন আপনি কত ভিজিটরই না পাবেনএজন্য আপনারা আপনার ব্লগের এড্রেসটি খুব সহজেই সার্চ ইঞ্জিন এ যুক্ত করে দিতে পারেন

৪. অন্য ওয়েব সাইটে লিং শেয়ারঃ
ইন্টারনেটে অনেক বড় বড় ওয়েব সাইট আছেযেখানে প্রতি দিন ৩ থেকে ৫ হাজার পাঠক নিয়মিত পোষ্ট পড়েন এবং লিখেনআপনারা সেই সব ওয়েব সাইটে আপনার বিভিন্ন চিন্তাধারা শেয়ার করার মাধ্যমে আপনার ব্লগের প্রচার করতে পারেনএতে একটি ব্লগের পাঠক সংখ্যা বৃদ্ধি পায়

৫. বিজ্ঞাপনঃ
আপনার ব্লগের পাঠক সংখ্যা বৃদ্ধি করার জন্য ইন্টারনেটে আপনার ব্লগের বিজ্ঞাপন দিতে পারেনএছাড়াও পত্রিকা বা মেগাজিন এ আপনার ব্লগের বিজ্ঞাপন করাতে পারেনঅবশ্য এতে কিছু টাকা খরচ হতে পারেকিন্তু এতে করে পাঠক বৃদ্ধি পায় আর তার সাথে সাথে বৃদ্ধি পায় ব্লগটির জনপ্রিয়তা

৬. কুইজঃ
আপনারা আপনার ব্লগে কুইজের ব্যবস্থা করতে পারেনযেখানে পাঠকগন কুইজের সঠিক উত্তর দিয়ে বিভিন্ন উপহার পেতে পারেএতে করে শুধু মাত্র কুইজে অংশ গ্রহন করার জন্যও আপনার ব্লগে ভিজিটর আসতে পারেফলে জনপ্রিয়তা খুবই দ্রুত বৃদ্ধি পায়

৭. গোছানো ব্লগ তৈরীকরনঃ
আপনার ব্লগটিকে পরিস্কার পরিছন্ন করে তৈরী করা চেষ্টা করুনএবং সব সময় পরিস্কার পরিছন্ন ভাবে পোষ্ট গুলো প্রকাশ করুনআপনার ব্লগটিকে এমন ভাবে সাজাবেন এবং তৈরী করবেন যেন পাঠক খুব সহজেই তার প্রত্যাশিত পোস্টটি পেয়ে যায়এতে করে ব্লগটি সম্পর্কে পাঠকের একটা মৌলিক ধারণা আসবে

৮. দ্রুত পেজ লোডঃ
সব সময় আপনার ওয়েব সাইট এর লোড হওয়ার গতি সম্পর্কে পুরো সচেতন থাকবেনসব সময় চেষ্টা করবেন ব্লগটি যেন তারিতারি লোড হয়কেননা আমার জানা মতে যে সব ব্লগ গুলো দ্রুত লোড হয় সেই সব ব্লগের পাঠক সংখ্যা অনেক বেশি
৯. পেইজ রেঙ্ক , ভিজিটর কাউন্টার এবং জরিপঃ
পেইজ রেঙ্ক হলো ওয়েব সাইটের জনপ্রিততার একটা মিটারযেটা দিয়ে ওয়েব সাইটের জনপ্রিয়তা বোঝা যায়আপনারা ব্লগে ভিজিটর কাউন্টারও যোগ করতে পারেন, ব্লগটিতে কতজন পাঠক এসেছে জানার জন্যএজন্য আপনারা এই পোষ্টা দেখতে পারেনএছাড়াও ব্লগের পাঠকদের কাছ থেকে বিভিন্ন মতামত পাওয়ার জন্য প্রতি মাসে একবার করে জরিপ তৈরী করে নিতে পারেন

আজ এই পর্যন্তইইনসাআল্লাহ আগামী পর্বে আবার এ বিষয়ে আলোচনা করবো
»» read more

আপনার ব্লগটিকে জনপ্রিয় করার পদ্ধতি ! পর্বঃ ২য়

বিসমিল্লাহির রহমানীর রাহিম 

আশা করি সবাই ভালো আছেন। আপনারা জানেন আমি ব্লগকে জনপ্রিয় করার জন্য একটা ধারাবাহিক পর্ব আরম্ভ করছি। এইটা দ্বিতীয় পর্ব। আপনারা যদি প্রথম পর্বটি না দেখে থাকেন তাহলে এখানে ক্লীক করে প্রথম পর্বটি দেখে নিতে পারেন। আজ একটি ব্লগের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করবো। তাহলে আসুন মহান আল্লাহ নামে পোষ্টা শুরু করিঃ

১. ভিডিও বিজ্ঞাপন তৈরীঃ
আমি গতপর্বে বিজ্ঞাপনের কথা বলেছিলাম। কিন্তু সেগুলো হলো বিভিন্ন ওয়েব সাইট এবং পেপার পত্রিকাতে। কিন্তু এখন আমি আমি আলোচনা বলছি ভিডিও বিজ্ঞাপন সম্পর্কে। আমার বিশ্বাস আপনাদের সবার YouTube সম্পর্কে জানা আছে। YouTube হলো একধরণের ভিডিও শেয়ারিং ওয়েব সাইট যেখানে প্রতিদিন হাজার হাজার ভিডিও আপলোড হয় এবং লক্ষ লক্ষ পাঠক প্রতিদিন সেই ভিডিও গুলো দেখেন। আপানার যদি ভিডিও এর কাজ জানেন তাহলে, আপনার ব্লগের জন্য একটি ভিডিও বানিয়ে সেটি YouTube তে আপলোড করে দিতে পারেন। এরপর বিভিন্ন ব্লগে, ওয়েব সাইটে বা ফোরামে সেই ভিডিও এর লিংগুলো শেয়ার করে আপনার ব্লগের পাঠক সংখ্যা বাড়িয়ে নিতে পারেন। যেমনটি আমি আইটি ওয়াল্ডের একটি ভিডিও বিজ্ঞাপন বানিয়ে আইটি ওয়াল্ডের সাইডবারে সেটির একটি লিং দিয়ে দিয়েছি।

২. নিয়মিত ব্লগ আপডেটঃ
সত্যি বলতে এটাই একটি ব্লগের মুল প্রাণ। কারণ আপনি যদি আপনার ব্লগটি নিয়মিত আপডেট না করেন তাহলে আমি যাকিছু আলোচনা ক সব কিছুই মাটি হয়ে যাবে। আপনার ব্লগটি যতই দ্রুত লোড হোক না কেন, যতই আপনি বিজ্ঞাপন করুন না কেন, যতই মান সম্মত পোষ্ট করে না কেন, আপনি যদি আপনার ব্লগটি নিয়মিত আপডেট না করেন তাহলে আপনার ব্লগটির পাঠক সংখ্যা ধীরে ধীরে কমে যাবে। এবং এক সময় কোন পাঠকই সেই ব্লগে আর ঘুরেও তাকায় না। তাই আপনার ব্লগে জীবিত এবং তাজা রাখার জন্য নিয়মিত পোষ্ট পাবলিশ করুন।

৩. ফেসবুককে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারঃ
আমরা সবাই ফেসবুক সম্পর্কে কিছুটা হলেও ধারণা জানি। ফেসবুক হলো একটি বিশাল সোস্যাল নেটওয়ার্ক বা বিশাল সামাজিক যোগাযোগের একটি মাধ্যম। ফেসবুক ব্যবহার করেন কোটি কোটি মানুষ আছেন। যারা তাদের কাজের ফাঁকেই ফেসবুকে পড়ে থাকেন। সত্যি বলতে একটি ব্লগ এর পাঠক সংখ্যা বাড়াতে ফেসবুকের কোন তুলনা নেই। আপনারা ফেসবুকে আপনার বন্ধুদের আনার ব্লগে আসার জন্য আমন্ত্রন জানাতে পারেন। এবং সেই সব বন্ধুদেরও অনুরোধ জানাতে পারেন তাদের বন্ধুদের আপনার ব্লগটি রিভিউ করার জন্য। এছাড়াও ফেসবুকে আপনারা আপনার ব্লগের পেইজ তৈরী করেও সেই পেজটি বন্ধুদের শেয়ারও করেও আপনার ব্লগটির পরিচিতি ঘটাতে পারেন।

৪. লাইক এবং শেয়ার বাটন সংযোজনঃ 
আপনারা পোষ্টের পোষ্টগুলো অন্য পাঠকদের কাছে পৌছানোর জন্য আপনার পোষ্টের ভিতরে ফেসবুক লাইক, টুইটার এবং শেয়ার বাটন সংযুক্ত করতে পারেন। এতে করে আপনার পাঠকরা পোষ্টটি লাইক করে পরবর্তীতে সেই পোস্টটি আবার পড়তে পারবে। তাছাড়া অন্য বন্ধুদের পোষ্টি শেয়ারও করতে পারবে। এই ধরনের বাটন এর সার্ভিস দেয়ার জন্য ইন্টারনেটে অনেক ওয়েব সাইট আছে। কিন্তু তাদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সবচেয়ে সহজ কোম্পানী হলো AddThis । যারা এই ধরনের বাটন তৈরীতে আপনাদের সহযোগীতা করবে।

৫. ফিড ব্রার্নার সাবস্ত্রাইবঃ
অতিথি পাঠকদের জন্য এটা খুবই ভালো সার্ভিস। আপনার ব্লগে যে সব অতিথি পাঠক আসবেন। সেসব পাঠক আপনার ব্লগে সাবস্ত্রাইব করে খুব সহজেই সেই সব পাঠক তার মেইলের মাধ্যমে নতুন পোষ্টগুলো পড়তে পারে। এজন্য গুগলের ফিড ব্রার্নার আমার দেখা সবচেয়ে ভালো এবং সুবিধা জনক।

আজ এই পর্যন্তই.. ইনসাআল্লাহ আগামী পর্বে  "ব্লগকে জনপ্রিয় করার জন্য আরো বেশ কিছু" টিপস সম্পর্কে আপনাদর জানানোর চেষ্টা করবো। ভালো লাগলে কমেন্টস করে জানাতে ভুলবেন না যেন।
»» read more

Online টাকা ইনকাম এ বাংলাদেশ এর অবস্থা এবং অবস্থান

সবাইকে সালাম জানিয়ে Tune টি করতে বসলাম। আজ সকালে কম্পিউটার জগত এ একটি নিউজ দেখে খুবই ভালো লাগল, সেটি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। এখানে অনেক অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের অভিমত রয়েছে যা অনেক কাজে লাগতে পারে।
ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং নিয়ে কমপিউটার জগৎ-এ লিখছি প্রায় দুই বছর হতে চলল (আমি না)। এই সময়ের মধ্যে বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। পড়ালেখা শেষ করে পূর্ণকালীন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে অনেকেই আত্মপ্রকাশ করছেন। ফ্রিল্যান্সিংয়ের সবচেয়ে ভালো দিক হচ্ছে পড়ালেখা শেষ করে একটা চাকরির জন্য বসে থাকতে হয় না। ব্যবসায়িক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে স্বল্প পুঁজিতে অনায়াসে একটি প্রতিষ্ঠান দাঁড় করানো যায়। এ জন্য দরকার কয়েকটি কমপিউটার, ইন্টারনেট সংযোগ এবং আইটিতে দক্ষ জনবল, যা প্রতিবছরই বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বের হচ্ছে।
দক্ষতার দিক থেকে বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সাররা অন্যান্য দেশ থেকে খুব একটা পিছিয়ে নেই। সম্প্রতি জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস ওডেস্ক (www.oDesk.com)-এর এক জরিপে দেখা যায়, অনলাইন কর্মীদের শীর্ষ ১০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তমে রয়েছে। এ নিয়ে দৈনিক প্রথম আলোতে গত ১০ মার্চ একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়, যা আমাদের দেশের জন্য সত্যি একটি সুখকর খবর। বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সাররা মূলত ওডেস্ক, গেট-এ-ফ্রিল্যান্সার এবং রেন্ট-এ-কোডার এই তিনটি মার্কেটপ্লেসে বেশি কাজ করে থাকেন। এসব সাইটে বাংলাদেশীদের মধ্যে সর্বোচ্চ অবস্থানে রয়েছেন এরকম কয়েকজন ফ্রিল্যান্সারের প্রোফাইল এই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হলো। পাশাপাশি বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সারদের অবস্থা জানার জন্য অনলাইনে কমপিউটার জগৎ-এর পক্ষ থেকে একটি জরিপের আয়োজন করা হয়েছে, যার প্রাথমিক ফল বিশ্লেষণ করেই তৈরি হয়েছে এ প্রতিবেদন।
ওডেস্ক
এ মার্কেটপ্লেসে প্রায় দুই লাখ সাতাশ হাজার প্রোভাইডার বা ফ্রিল্যান্সার রয়েছে। সাইটে ‘বাংলাদেশ’ লিখে সার্চ করে প্রায় সাড়ে আট হাজার ফ্রিল্যান্সারকে পাওয়া যায়। সবচেয়ে বেশি কর্মঘণ্টা কোন ফ্রিল্যান্সারের সে হিসেবে সাজালে প্রথম অবস্থানে আসে ‘মিনহাজ’ নামের এক বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সারের নাম। তিনি ২০০৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত ওডেস্কে মোট ৭ হাজারেরও বেশি ঘন্টা কাজ করেছেন। পেশায় তিনি একজন ইংরেজি শিক্ষক এবং একজন কমপিউটার প্রশিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পরে তা বাদ দিয়ে ফ্রিল্যান্সিংকেই মূল পেশা হিসেবে নিয়েছেন। তিনি মূলত ডাটা এন্ট্রি, গ্রাফিক্স ডিজাইন এবং প্রোগ্রামিং করে থাকেন। ওডেস্কে তিনি ২৩টি কাজ করছেন, যা থেকে প্রায় ২৩ হাজার ডলার আয় করেছেন। এ তালিকার দশম স্থানে ‘সালেহা আক্তার’ নামের এক মহিলা ফ্রিল্যান্সার রয়েছেন। তিনি মূলত ডাটা অ্যান্ট্রিনির্ভর কাজ করে থাকেন। তিনি এ পর্যন্ত ১,৭০০ ঘণ্টার ওপর কাজ করে পাঁচ হাজার ডলারের ওপর আয় করেছেন।
গেট-এ-ফ্রিল্যান্সার
সম্প্রতি এ সাইটের নাম পরিবর্তন করে ‘ফ্রিল্যান্সার’ রাখা হয়েছে এবং নতুন ঠিকানা হচ্ছে www.freelancer.com। এ সাইটে সাড়ে তেইশ হাজার বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সার রয়েছেন। এ তালিকার শীর্ষে রয়েছে ডাটা ড্রিম লিমিটেড নামের একটি আউটসোর্সিং কাজনির্ভর প্রতিষ্ঠান, যেখানে ২০ জন আইটি পেশাজীবী কাজ করছেন। এ প্রতিষ্ঠান ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, গেম ডেভেলপমেন্ট, ডাটা অ্যান্ট্রি, ডাটা প্রসেসিং ও অনলাইন মার্কেটিংয়ের কাজ করে থাকে। ২০০৮ সালের শেষের দিকে এ সাইটে যোগ দিয়ে এ পর্যন্ত ২০০টির বেশি প্রজেক্ট সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। বাংলাদেশীদের তালিকায় ৫ম স্থানে রয়েছেন ‘সায়মা’ নামের এক ফ্রিল্যান্সার। তিনি মূলত বিভিন্ন ওয়েবসাইট এবং ব্লগের জন্য আর্টিকেল লিখে থাকেন। এ সাইটে তিনি ২০০৮ থেকে এ পর্যন্ত ১৮১টি প্রজেক্ট সম্পন্ন করেছেন।
রেন্ট-এ-কোডার
এ সাইটে (www.RentACoder.com) প্রায় ৫ হাজার বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সার কাজ করেন। এদের মধ্যে ১০০টির অধিক কাজ করেছেন এরকম ফ্রিল্যান্সার রয়েছেন ১৯ জন। এ তালিকার প্রথম স্থানে রয়েছেন ‘shayanto_03’ নামের এক ফ্রিল্যান্সার। যিনি রেন্ট-এ-কোডারের দুই লাখ আশি হাজার ফ্রিল্যান্সারের মধ্যে ২৫৫তম স্থানে রয়েছেন। ২০০৫ সালে সাইটে যোগ দিয়ে এ পর্যন্ত ৪০০টির বেশি কাজ সম্পন্ন করেছেন। তিনি ওয়েব প্রোগ্রামিং এবং ওয়েব ডিজাইনের কাজ করে থাকেন। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ‘মুক্ত সফটওয়্যার’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান, যা রেন্ট-এ-কোডারের র্যা ঙ্কিংয়ে এ ২৭৭তম স্থানে রয়েছে। এ প্রতিষ্ঠানটি ২০০৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৩৮৫টি প্রজেক্ট সম্পন্ন করেছে। এ প্রতিষ্ঠানটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট, ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট, ওয়েব সার্চনির্ভর কাজ করে থাকে।
ফ্রিল্যান্সারদের নিয়ে জরিপ
বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সাররা কে কী ধরনের কাজ করছেন, তা জানার জন্য নতুন ও অভিজ্ঞ সব ফ্রিল্যান্সারকে কমপিউটার জগৎ-এর পক্ষ থেকে একটি জরিপে অংশ নেয়ার আহবান জানানো হয়েছিল। এ আহবানে সাড়া দিয়ে গত ২৬ মার্চ পর্যন্ত ৪৬ জন ফ্রিল্যান্সার জরিপে অংশ নেন। যদিও এই সংখ্যা বাংলাদেশী মোট ফ্রিল্যান্সারদের তুলনায় অনেক কম, কিন্তু তা থেকে আমাদের দেশী ফ্রিল্যান্সারদের অবস্থা সম্পর্কে একটি ধারণা পাওয়া যায়। জরিপে ফ্রিল্যান্সারদের কয়েকটি প্রশ্ন করা হয়েছিল এবং ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং সম্পর্কে তাদের মতামত জানতে চাওয়া হয়েছিল।
জরিপের ফল বিশ্লেষণ
জরিপে যেসব বিষয় জানতে চাওয়া হয়েছিল সেগুলো হলো :
প্রশ্ন : আপনার পেশা
পূর্ণকালীন ফ্রিল্যান্সার ৩৫%,  চাকরিজীবী ১৫%,
ব্যবসায়ী ৯%,  শিক্ষার্থী ৩৯%,  গৃহিণী ০%
এ থেকে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে ফ্রিল্যান্সিং করার চাহিদা সবচেয়ে বেশি। অনেকেই পড়ালেখা শেষ করে চাকরি বা ব্যবসায় না করে ফ্রিল্যান্সিংকেই মূল পেশা হিসেবে নিয়েছেন।
প্রশ্ন : ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে প্রথম কিভাবে জানতে পেরেছিলেন?
কমপিউটার জগৎ ম্যাগাজিন থেকে ২৪%
সংবাদপত্র থেকে ৭%
ইন্টারনেটে থেকে ২২%
বন্ধুর মাধ্যমে ২৮%
অন্যান্য ২০%
ফ্রিল্যান্সিংকে জনপ্রিয় করতে কমপিউটার জগৎ-এর ভূমিকা সহজেই এ জরিপ থেকে অনুধাবন করা যায়।
প্রশ্ন : কোন সাল থেকে ফ্রিল্যান্সিংয়ের সাথে জড়িত?
২০১০ ২৮%,   ২০০৯ ৫০%,   ২০০৮ ১৫%
২০০৭ ২%,      ২০০৬ ৪%,    ২০০৫ ০%
প্রকৃতপক্ষে ২০০৮ সাল থেকে ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং আমাদের দেশে জনপ্রিয় হতে শুরু করে। ২০১০ সালে এ খাতে নতুনেরা যে আরও বেশি পরিমাণে যুক্ত হবে, তা প্রথম কয়েক মাসের চিত্র (২৮%) থেকেই বোঝা যায়।
প্রশ্ন : কোন ধরনের কাজগুলো করে থাকেন?
ওয়েবসাইট তৈরি ৪১% ,  ওয়েবসাইট টেম্পলেট ডিজাইন ৩৫%
গ্রাফিক্স ডিজাইন ৩৫%,   প্রোগ্রামিং ২০%,  ডাটা এন্ট্রি ৫৪%
অ্যানিমেশন তৈরি ৯%,  গেম তৈরি ৪%, অন্যান্য ৫৭%
এই প্রশ্নটিতে একাধিক উত্তর নির্ধারণের সুযোগ ছিল। তাই মোট শতাংশ ১০০%-এর অধিক। এতে দেখা যায় ডাটা অ্যান্ট্রি ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। তারপরের অবস্থানে রয়েছেন ওয়েবসাইট ডেভেলপাররা।
প্রশ্ন : কোন কোন মার্কেটপ্লেসে নিয়মিত কাজ করে থাকেন?
ওডেস্ক ৪৬% ,   গেট-এ-ফ্রিল্যান্সার ৪৩%,   রেন্ট-এ-কোডার ৩০%
গেট-এ-কোডার ৪%,   স্ক্রিপ্টল্যান্স ৭%,   মাইক্রোওয়ার্কস ১৩%
থিমফরেস্ট (এনভাটো) ৯%,  জুমল্যান্সার্স ২%,  সরাসরি ক্লায়েন্ট থেকে ২৬%
অন্যান্য ৩৫%
এ প্রশ্নটিতেও একাধিক উত্তর নির্ধারণের সুযোগ ছিল। ওডেস্ক, রেন্ট-এ-কোডার, গেট-এ-ফ্রিল্যান্সের পাশাপাশি সরাসরি ক্লায়েন্টের কাছ থেকে কাজ পেয়ে থাকেন এমন ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যাও অনেক। এক্ষেত্রে আমাদের দেশে পেপাল (Paypal) চালু থাকলে আরও অনেক বেশি বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা যেত। কারণ, পেপালে লেনদেনের খরচ অত্যন্ত কম হওয়ায় বেশিরভাগ ক্লায়েন্ট পেপালের মাধ্যমে টাকা পরিশোধ করতে চায়।
প্রশ্ন : মার্কেটপ্লেস থেকে এ পর্যন্ত কতটি কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করেছেন?
একটিও নয় ৩৫%,  ১ – ৩ টি ২২%,  ৪ – ১০ টি ১১%
১১ – ৫০ টি ১১%, ৫১ – ১০০ টি ৯%, ১০০টির অধিক ৯%
এই জরিপে যারা অংশ নিয়েছিলেন তাদের একটি বড় অংশ এখনও কোন কাজ পাননি। তাই বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সারদের প্রকৃত চিত্র পেতে অভিজ্ঞ ফ্রিল্যান্সারদের এ জরিপে অংশ নেয়ার আহবান জানানো যাচ্ছে।
প্রশ্ন : প্রথম কাজ পেতে আপনার কত সময় লেগেছিল?
এখনও কোনো কাজ পাইনি ৩৫%,  ১ সপ্তাহ থেকে কম ৯%
১ থেকে ২ সপ্তাহ ৭%,  ১ মাসের মধ্যে ২০%,  ২ থেকে ৩ মাস ১৩%
৩ থেকে ৬ মাস ৭%,   ৬ মাস থেকে বেশি সময় ৭%
প্রথম কাজ পেতে কত সময় লাগতে পারে তা বিভিন্ন বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে কাজে দক্ষতা, ইংরেজিতে সাবলীলভাবে যোগাযোগের বৈশিষ্ট্য এবং কোন ধরনের প্রজেক্টে বিড (Bid) করছেন তার ওপর। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় এক মাসের মধ্যেই প্রথম কাজ পাওয়া যায়।
প্রশ্ন : অর্থ উত্তোলনের জন্য কোন কোন পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করে থাকেন?
পেওনার মাস্টারকার্ড ৩৮%,  মানিবুকার্স ৪৮%,   পেপাল ১৭%,   ব্যাংক ওয়্যার ট্রান্সফার ১৪%
চেকের মাধ্যমে ১৪%,  ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন ১২%,   এলার্টপে ১২%,  অন্যান্য ২৯%
অর্থ উত্তোলনের ক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সাররা একাধিক পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকেন। আমাদের দেশে জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে মানিবুকার্স এবং পেওনার ডেবিট মাস্টারকার্ড। পেপালের সার্ভিস আমাদের দেশে না থাকলেও অনেকে বিদেশে অবস্থিত বন্ধুবান্ধব বা আত্মীয়স্বজনের মাধ্যমে এটি ব্যবহার করছেন।
জরিপে আর দুটি ঐচ্ছিক প্রশ্ন ছিল। একটি হচ্ছে প্রথম কাজে কত ডলার বিড করেছিলেন? এক্ষেত্রে দেখা যায় বেশিরভাগ ফ্রিল্যান্সার ২০ থেকে ৫০ ডলারের কাজের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন। কয়েকজন আবার প্রথম প্রজেক্টে ২০০ থেকে ৪০০ ডলার পেয়েছিলেন। একজন ফ্রিল্যান্সার প্রথম প্রজেক্টেই ৯৫০ ডলার পেয়েছিলেন। দ্বিতীয় প্রশ্নটি ছিল এ পর্যন্ত আনুমানিক মোট কত ডলার আয় করেছেন। এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন ১৯ জন। এদের মধ্যে ৯ জন ১,০০০ থেকে ৫,০০০ ডলার আয় করেছেন। এদের মধ্যে ২ জন রয়েছেন যারা ২০ হাজার ডলারের ওপর আয় করেছেন।
জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মতামত
এ জরিপে অংশগ্রহণকারী ফ্রিল্যান্সাররা প্রত্যেকে তাদের মতামত দিয়েছেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি প্রকাশ করা হলো।
সুপ্রিয় রঞ্জন নাথ
শিক্ষার্থী, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়
অর্থ উত্তোলনের যে প্রচন্ড ঝামেলা পোহাতে হয় তা রয়েই গেল। সরকারের এ বিষয়ে কোনো মাথাব্যথা নেই। তবে আমার প্রস্তাব, আমাদের দেশেই একটি নিজস্ব মার্কেটপ্লেস তৈরি হোক। যেখানে আমরা নিজেরাই নিজের দেশের মার্কেটপ্লেসে কাজ করে অর্থ আয় করতে পারি। এই বিষয়টি ভাবলে মনে হয় ভালো হবে।
…………………………………………………….
রবিউল ইসলাম
পূর্ণকালীন ফ্রিল্যান্সার, শিরোমণি, খুলনা
আমি একজন প্রফেশনাল ফ্রিল্যান্সার। আমি মনে করি এটি খুব আনন্দদায়ক এবং উপভোগ্য কাজ। ওডেস্কে আলফাডিজিটাল নামে আমাদের একটি টিম আছে, যা ওডেস্কে আমাদের দেশের মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছে। আমাদের টিম মেম্বাররা খুব দক্ষ এবং আমরা যেকোনো ধরনের কাজ করতে পারি।
…………………………………………………….
মিথুন
পূর্ণকালীন ফ্রিল্যান্সার, নাখালপাড়া, ঢাকা
সত্যি কথা বলতে কি, আমি প্রথম এই সম্পর্কে জানতে পারি জাকারিয়া ভাইয়ের কমপিউটার জগৎ-এ লেখার মাধ্যমে। আমার প্রথম কাজ পেতে প্রায় ৫ মাস সময় লেগেছিল। সময়টা অনেক বেশি হলেও এই সময়ের মাঝে নিজেকে তৈরি করতে ব্যয় করেছিলাম। আমাদের অনেক বেশি প্রস্তুতি নেবার প্রয়োজন আছে। আর সব চেয়ে বেশি দরকার আমাদের নিয়মিত ইংরেজি চর্চা করা।
…………………………………………………….
আবু সাইদ মোহাম্মাদ সায়েম
পূর্ণকালীন ফ্রিল্যান্সার, রাজপাড়া, রাজশাহী
আমি রাজশাহীতে একটি Writing and Web Development Firm করতে চাই। আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো আগ্রহ এবং ধৈর্যের অভাব। আমার মনে হয় এ জন্য ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে প্রচার আরো বেশি প্রয়োজন এবং ফ্রি সেমিনারের মাধ্যমে সচেতনতা আর উদ্বুদ্ধকরণের মতো কাজ করলে আমরা আমাদের এই সেক্টরটিতে মানবসম্পদ উন্নয়ন করতে পারি। আমি ব্যক্তিগতভাবে এখন সত্যিই যোগ্য লোকের প্রয়োজন অনুভব করছি আমার টিমের জন্য।
…………………………………………………….
মহসিনুল আলম
পূর্ণকালীন ফ্রিল্যান্সার, কাফুরিয়া, নাটোর
সবার আগে প্রয়োজন ইংরেজি ভালোভাবে জানা। বিশেষ করে ক্লায়েন্টের সাথে যোগাযোগ করতে অনেক সুবিধা হয়। কারণ, আমি প্রথম দিকে বুঝতে পারতাম না বায়ার আসলে কী চায়। ফলে প্রায় পাওয়া প্রজেক্টগুলো হাতছাড়া হয়ে যেত। এখনো এ ধরনের সমস্যা কিছু কিছু মোকাবেলা করতে হয়। আর কাজ শুরু করার আগে নিজের আত্মবিশ্বাস সম্পর্কে বায়ারকে অবহিত করতে হবে। যেনো বায়ার কাজটি নির্ভয়ে দেয়। আমি ফ্রিল্যান্স জগতে প্রতিষ্ঠিত হতে চাই। তাই ওয়েব ডেভেলপমেন্টের কাজ শিখছি। কারণ, আস্তে আস্তে ওয়েবের জগত বাড়ছে।
…………………………………………………….
অলি জামান
শিক্ষার্থী, বগুড়া
আমাদের দেশে পেপাল চালু হওয়া উচিত। অনেক ক্লায়েন্ট এ কারণে প্রজেক্ট বাতিল করে দেয়, কারণ তারা শুধু পেপালের মাধ্যমে অর্থ পরিশোধ করতে চায়।
…………………………………………………….
রাসেল
গেন্ডারিয়া, ঢাকা
আউটসোর্সিং কাজে বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সারদের ভবিষ্যৎ অনেক ভালো। কিন্তু এর জন্য আরও অনেক কাজ করতে হবে। আমাদের দেশ থেকে ভারতে এই ধরনের কাজ অনেক বেশি হয়। ওদের কারণে এই কাজে টাকা অনেক কমে গেছে। আমার মনে হয়, আমরা যদি ফার্মের মাধ্যমে এ কাজ করি, তাহলে সম্পূর্ণ প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করা যাবে। এ আউটসোর্সিংয়ে যারা কাজ করে তাদের নিয়ে একটা সংগঠন করলে ভালো হয়।
…………………………………………………….
কাজী আব্দুল্লাহ আল মামুন (সুমন)
চাকরিজীবী, ঢাকা
চাকরির পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং একটি ভালো প্র্যাকটিস। এটি টেকনিক্যাল কারিগরি দক্ষতা বাড়ায়। সবচেয়ে বেশি বাড়ায় যোগাযোগের দক্ষতা এবং ধারণাগত দক্ষতা।
…………………………………………………….
মোহাম্মাদ লিটন
পূর্ণকালীন ফ্রিল্যান্সার, মিরপুর, ঢাকা
সব বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সার চায় পেপাল আমাদের দেশে চালু হোক। এতে অর্থ লেনদেন খুব সহজ এবং খরচ খুবই কম। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, কিছু কিছু ক্লায়েন্ট শুধু পেপালের মাধ্যমে লেনদেন করতে চায়। তাই বাংলাদেশী সব ফ্লিল্যান্সার চায় আমাদের সরকার এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।
…………………………………………………….
মো: রেজওয়ানুল আলম
শিক্ষার্থী, মওলানা ভাসানী হল, জাবি
আমি কিছুদিন হলো ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শিখলাম, এখন প্রাতিষ্ঠানিক পরীক্ষার কারণে ফ্রিল্যান্সিং বন্ধ আছে। মে/জুন থেকে সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছি, পার্টটাইম ওয়েব ডেভেলপার হিসেবে চাকরি- না ফ্রিল্যান্সিং করব। উল্লেখ্য, আমি ওয়েব ডেভেলপমেন্টের কাজ শেখার আগে সরাসরি একটি ডাটা এন্ট্রির কাজ পেয়ে শুরু করেছিলাম গেট-এ-ফ্রিল্যান্সার সাইট থেকে। একঘেয়েমি আর নেট স্পিডের অপ্রতুলতার কারণে কয়েকদিন করেই বাদ দিয়েছি। টাকা হাতে পাবার নিশ্চয়তার ব্যাপারে সরকারি উদ্যোগ থাকলে এর প্রসার কয়েকগুণ হবে বলে আমার ধারণা। বর্তমানে যেসব পদ্ধতিতে বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সাররা টাকা তুলছেন তাদের বিভিন্ন ফি পরিশোধ করতে অনেক টাকা গুনতে হয়। সরকারকে ফ্রিল্যান্সিংয়ে সামান্য সরকারি সহযোগিতার মাধ্যমে লাখ লাখ লোকের কর্মসংস্থান এবং কোটি কোটি ডলার আয় সম্ভব তা বুঝতে হবে।
…………………………………………………….
ত্রিভুজ
ব্যবসায়ী, উত্তরা, ঢাকা
আউটসোর্সিং নিয়ে এ দেশে আরো প্রচুর প্রচার হওয়া প্রয়োজন। এর জন্য প্রচুর ওয়ার্কশপ আর সেমিনার করা দরকার। সরকারের তরফ থেকেও ফ্রিল্যান্সারদের সহযোগিতা উদ্যোগ নেয়া জরুরি। বিশেষ করে বিদেশ থেকে টাকা আনার বিষয়টা। যেমন পেপাল বাংলাদেশ থেকে ব্যবহার করা যায় না। রিমোট ডেস্কটপে লগইন করে সেখান থেকে ব্যবহার করতে হয়। তারপর শেষ পর্যন্ত আবার সাধারণ ব্যাংকের মাধ্যমে সেটা আনতে হয়। এত ঝামেলা অনেকের পক্ষেই সম্ভব হয় না। সরকার উদ্যোগ নিলে এসব সমস্যা মিটতে পারে। দেশে ইন্টারনেট সহজলভ্য করা ও অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেম শিগগির চালু করা উচিত। এতে অনেকেই ই-কমার্স এবং অনলাইনভিত্তিক সার্ভিস ডেভেলপমেন্টে আগ্রহী হবে এবং সেখান থেকে আমরা অনেক ফ্রিল্যান্সার পাবো।
…………………………………………………….
শাহরিয়ার জাহান
পূর্ণকালীন ফ্রিল্যান্সার, উপশহর, রাজশাহী
টাকা আসবার পর ব্যাংকে কিছু জটিলতার মুখোমুখি হয়েছি। শুধু ফ্রিল্যান্স কাজে নয়, আইটি নিয়েই দেশে কেন্দ্রীয় পরিকল্পনার খুব অভাব অনুভব করি। বিশ্ববাজারে আরো ভালো অবস্থানের জন্য আইটি বিশেষজ্ঞ ও উদ্যোক্তাদের অনেক বেশি ভূমিকা রাখতে হবে। ইন্টারনেটের খরচের তুলনায় স্পিড এখনো অনেক কম, সেই সাথে বিদ্যুৎ বিভ্রাট আমাদেরকে অনেক পিছিয়ে রাখছে। সরকারিভাবে ফ্রিল্যান্সারদের একত্রিত করে কাজ করবার উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে। এটা আউটসোর্সিংকে একটি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেবে, এবং দেশ বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে উপকৃত হবে।
এ জরিপের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সাররা কোন কোন ধরনের কাজ করছেন এবং ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে তাদের মতামত জানা। এ থেকে নতুন ফ্রিল্যান্সাররা একটি দিকনির্দেশনা পাবে। তাই এ জরিপে যত বেশিসংখ্যক ফ্রিল্যান্সার অংশ নেবে, তত ভালোভাবে বিষয়গুলো জানা যাবে। এজন্য সব ফ্রিল্যান্সারকে http://tinyurl.com/bdfreelancer লিঙ্কে গিয়ে জরিপে অংশ নেয়ার আহবান জানানো হচ্ছে। জরিপের পূর্ণাঙ্গ ফল কমপিউটার জগৎ-এর মাধ্যমে জানানো হবে।
সূএ: কম্পিউটার জগত
আমরা করব জয়, আমরা করব জয় নিশ্চয়, We shall over come
ধণ্যবাদ

»» read more

বিনোদন বিষয়ক সাইট দেখুন

বাস্তবে দেখা জল প্রতিফলন।

Check Page Rank of your Web site pages instantly:

This page rank checking tool is powered by Page Rank Checker service

বি: দ্র:-কোন লিংক না দেখা গেলে SKIP AD-এ ক্লিক করবেন।

  • .
 
Blogger Widgets Read more: http://techtunes.com.bd/tutorial/tune-id/70142/#ixzz1Nh3anoHA